বিজেপিকে সমর্থন করার পরও দলীয় নেতৃত্বের সম্বর্ধনা পেয়েছিলেন সিপিএমের জয়ী সদস্য, এবার শাস্তি
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করার পরও দলীয় নেতৃত্বের সম্বর্ধনা পেয়েছিলেন সিপিএমের জয়ী সদস্য। সেই নিয়ে রাজনীতির জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। তার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের সেই জয়ী সিপিএম প্রার্থীকেই দলের শাস্তির মুখে পড়তে হল। (CPM News)
তৃণমূল বা বিজেপিকে সমর্থন করলে বরখাস্ত করা হবে, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। গত ৩১ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএম-এর সম্পাদক নিরঞ্ন সিহি বলেছিলেন, “তৃণমূল বা বিজেপিকে আমরা সমর্থন করি না আমরা নিরপেক্ষ থাকব। এরকম কেউ করলে বহিষ্কার করব।”
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বিজেপি বা তৃণমূলকে সমর্থন করার পরও জয়ী সদস্যকে সম্বর্ধনা দেন সিপিএম নেতৃত্ব। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হল।সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে তৃণমূল বা বিজেপিকে সমর্থন করেছেন, এমন সদস্যদের চিহ্নিত করতে ৩৩টি এরিয়া কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব।
রবিবার জেলা কমিটির বৈঠকে মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, প্রত্যক্ষ ভাবে তৃণমূল এবং বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগে আট জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন, সিপিএমএ-র ভগবানপুর-২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক, প্রতাপদিঘি এরিয়া কমিটির দুই সদস্য, এগরা এরিয়া কমিটির এক সদস্য এবং হলদিয়া গ্রামীণের চার দলীয় সদস্য। এ ছাড়াও, পঞ্চায়েত ভোটে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে শোকজ করা হচ্ছে ২২৩ জন দলীয় কর্মীকে।
সমবায় নির্বাচনেও কড়া পদক্ষেপ করেছিল CPM
গত বছর সমবায় ভোটে তমলুকে বাম-বিজেপি একসঙ্গে জোট করে মনোনয় জমা দিয়েছিল। সেবারও ছয় জন সিপিএম নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন নেতৃত্ব। এবার পঞ্চায়েতের ভোটেও একই পথে হাঁটল সিপিএম।
(Feed Source: abplive.com)