কলকাতা: সামনে এল চাঞ্চল্যকর এক বিষয়। সম্প্রতি হাওয়াইয়ের মাউই-এর জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনায় তাপের পরিমাণ এতটাই ভয়ানক ছিল যে এর ফলে অন্তত ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় ছ’সপ্তাহ ধরে দাবানলের গ্রাস ছিল। ভস্মীভূত ১০৬ লক্ষ একরের বেশি জমি, বাড়ি, অরণ্য। আগুনের তীব্রতা এতটাই মারাত্মক ছিল যে এটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থল এবং একসময় হাওয়াই রাজ্যের রাজধানী তথা ঐতিহাসিক শহর লাহাইনাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার বাট কাউন্টির জঙ্গলে একই রকম আগুন লেগেছিল। ওই ঘটনায় যাতে ৮৫ জন প্রাণ হারান।
আমেরিকার রাজ্য মেরিল্যান্ড থেকে দাবানল ছড়িয়েছিল কানাডায়। তবে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও জ্বলছে পূর্ব প্রান্ত। কানাডার দাবানলের ধোঁয়ায় দমবন্ধ অবস্থা পড়শি আমেরিকারও। ধোঁয়ায় ঢেকেছিল নিউ ইয়র্কের স্ট্যাটু অফ লিবার্টি। দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়েছিল নরওয়েতেও। এমনকি, তা ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
আর এই বিষয়টি নিয়েই NASA-র নেতৃত্বাধীন সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে থাকে, সেক্ষেত্রে সারা বিশ্বের মানুষ একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনা ঘটবে এবং সেগুলির প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারে।
ওই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, এর ফলে বিশ্বের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ প্রতি বছর তীব্র গরমের সম্মুখীন হতে পারে। আরও আশঙ্কা, এটি অ্যামাজনের মতো এলাকাকে বিপজ্জনকভাবে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরার দিকে নিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি দাবানলের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল আরও বেশি তাপ অনুভব করবে। পাশাপাশি বিষুব রেখার কাছাকাছি দেশগুলিতেও গরমের দিন বাড়বে। সামগ্রিকভাবে এই গবেষণার ফলাফলগুলি জলবায়ুর পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাবগুলি কমাতে বিশ্বব্যাপী সঠিক পদক্ষেপের জরুরী প্রয়োজনের দিকেই নির্দেশ করেছে।