Pori Moni | Sariful Razz: সত্যিই কি প্রযোজকের অফিসে হাতাহাতি হয়েছিল পরীমণির সঙ্গে? মুখ খুললেন শরিফুল রাজ…

Pori Moni | Sariful Razz: সত্যিই কি প্রযোজকের অফিসে হাতাহাতি হয়েছিল পরীমণির সঙ্গে? মুখ খুললেন শরিফুল রাজ…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রক্তাক্ত হয়ে দুজনে একই দিনে ভর্তি হন হাসপাতালে, সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে খবর যে এক নির্মাতার অফিসে নাকি হাতাহাতি শুরু করেছিলেন তারকা দম্পতি। একজনের আঘাত হাতে, তো অন্যজনের মাথায়। এই বিতর্কিত তারকা দম্পতি হলেন পরীমণি(Pori Moni) ও শরিফুল রাজ (Sariful Razz)। তাঁদের যে কখন মিলন কখন বিচ্ছেদ তা বুঝে উঠাই দায়। কখনও একে অপরের নামও শুনতে চান না তাঁরা, কখনও আবার একে অপরকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা যায়। তবে সম্প্রতি তাঁদের নিয়ে ছড়িয়েছে নয়া গল্প। সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন অভিনেতা শরিফুল রাজ।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে রাজ বলেন, ‘ঘটনার দিন তেজগাঁও এলাকা দিয়ে আমি গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। সামনে দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে লেগে যায় আমার গাড়ি। এসময় গাড়ির গ্লাস এসে মাথায় লাগে। এতেই জখমের সৃষ্টি হয়।’ পরীর সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে কী? সেই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো দাম্পত্য কলহ থেকে আঘাতপ্রাপ্তির ঘটনা ঘটেনি। কিছু অতিউৎসাহী মানুষ এসব গল্প ছড়াচ্ছে।’

দুদিন আগেই একসঙ্গে ছেলের জন্মদিনের কেক কাটতে দেখা গিয়েছিল রাজ ও পরীমণিকে। তারপরেই তাঁরা ঘোষণা করলেন যে ছেলের কারণেই ফের এক হচ্ছেন তাঁরা। এমনকী রাজ নাকি পরীর বাড়িতেও থাকতে শুরু করেন। ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর কথাও সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেন। এর মাঝেই শোনা যায় যে সে খবর মিথ্যে। তাঁরা এক হননি। এমনকী পরীর বাড়ি থেকে চলেও গেছেন রাজ। এরমাঝেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন পরী। তবে তিনি একা নন, পরী জানান তমা মির্জাও ভর্তি হাসপাতালে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় রক্তাক্ত শরিফুল রাজের ছবি। সেখান থেকেই সামনে আসে নয়া খবর। এক নির্মাতার অফিসে নাকি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে রাজ ও পরী। হাত কেটে যায় পরীর, মাথায় আঘাত পান রাজ এবং তাঁদের থামাতে গিয়ে আহত হন অভিনেত্রী তমা মির্জাও। সেই বিষয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন তমা মির্জা।

তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারো হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেকইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারো জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো- সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না। আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশপাশেও আমি ছিলাম না। এমনকী ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বলল, ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসব। এর মধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।’ যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি পরীমণি।

(Feed Source: zeenews.com)