‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় বা খোলামেলা পোশাক পরতে অস্বস্তি হয়’, সাফ কথা আমিশার

‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় বা খোলামেলা পোশাক পরতে অস্বস্তি হয়’, সাফ কথা আমিশার

এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে আমিশা প্যাটেল। বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেই চলেছে তাঁর এবং সানি দেওলের ‘গদর ২’। সব মিলিয়ে আবার আলোচনায় ফিরে এসেছেন আমিশা প্যাটেল। এবার তিনি বললেন, কোন ধরনের জিনিস তাঁর ঘোর অপছন্দ।

দীর্ঘ দিন ধরেই পর্দা থেকে দূরে ছিলেন আমিশা। হাতে বিশেষ বড় কাজ ছিল না। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এক সময়কার সুপারহিট অভিনেত্রী বোধহয় আর বলিউডে আগের অবস্থায় ফিরতে পারবেন না। কিন্তু সব হিসাব উলটে দিল ‘গদর ২’। আবার আলোচনায় ফিরে এলেন আমিশা প্যাটেল। এখন আবার তিনি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় ঢুকে পড়লেন।

এহেন আমিশা সম্প্রতি বলেছেন, তিনি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে মোটেই পছন্দ করেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বা যৌন উত্তেজনামূলক দৃশ্যে অভিনয় করতে মোটেই ভালো লাগে না। সলমন খান যেমন পর্দায় চুমু খেতে একেবারেই রাজি নন। একই কথা সানি দেওলের ক্ষেত্রেও সত্যি। সেই রকম কারণেই আমারও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে ভালো লাগে না।’

তাঁর কথায়, ‘আপনি নিজে যাতে অস্বস্তি বোধ না করেন, তার জন্য আপনাকে কয়েকটা সীমারেখা তৈরি করতেই হবে। আমিও সেটাই করে নিয়েছি।’ তবে আমিশা যে শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কথা বলেছেন, তা নয়। তাঁর বক্তব্য, তিনি একই সঙ্গে এণন পোশাক পরতেও রাজি নন, যাতে তাঁর অস্বস্তি লাগে। পর্দায় মহিলাদের অবমাননাকর কোনও দৃশ্যেও তিনি অভিনয় করতে নারাজ বলে জানিয়েছেন।

হালে আমিশা জানিয়েছেন, তাঁকে এক সময়ে সঞ্জয় লীলা বনশালি অবসর নিয়ে নিতে বলেছিলেন। সেটি নিয়েও সম্প্রতি চর্চা হয়েছে। আমিশা জানিয়েছেন, সঞ্জয় লীলা বনসালি ‘গদর’ দেখার পরে একটি সুন্দর চিঠি লিখেছিলেন। প্রশংসাসূচক চিঠি। এবং যখন আমিশা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমিশা, তোমার এখন অবসর নেওয়া উচিত।’ আমিশার কথায়, ‘আমি বললাম, কেন?’ তিনি বলেছিলেন, ‘কারণ তুমি ইতিমধ্যে দুটি ছবি থেকে এমন কিছু অর্জন করেছো, যা বেশির ভাগ লোক তাঁদের পুরো কেরিয়ারে অর্জন করতে পারে না। জীবনে একবার ‘মুঘল-ই-আজম’, একটি ‘মাদার ইন্ডিয়া’, একটি ‘পাকিজা’, একটি ‘শোলে’তে কাজ করা যায়। তোমার দ্বিতীয় ছবিতে এটি ছিল। তো এরপর কী?’

(Feed Source: hindustantimes.com)