‘৩০ টাকা মজুরি পেতাম, ভাবিনি পড়াশুনা হবে’, রাজীব সামলেছেন চন্দ্রযানের রকেট

‘৩০ টাকা মজুরি পেতাম, ভাবিনি পড়াশুনা হবে’, রাজীব সামলেছেন চন্দ্রযানের রকেট

পানিহাটি: চাঁদের বুকে ভারতের বিক্রমের সাফল্যের পেছনে রয়েছেন ইসরোর বহু বিজ্ঞানীর অবদান। চন্দ্রযান তিনের সফল উৎক্ষেপনের পেছনে যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাদের মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটির বাসিন্দা রাজীব সাহা। রাজিব সাহা চন্দ্রযান বিক্রমের রকেট প্রস্তুতকারী হিসাবে কাজ করেছেন।

চাঁদের মাটিতে বিক্রমের অবতরণের সাফল্যের পর, রাজীব সাহা তাঁর স্কুল উসুমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। চন্দ্রযান সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের নিজের অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নেন কৃতি প্রাক্তনী। মুন মিশনের বিজ্ঞানীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসে বিহ্বল হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। কী ভাবে তিনি ইসরোয় নিজের জায়গা তৈরি করে নেন, তাও নিজের স্কুলের বরতমান পড়ুয়াদের সঙ্গে ভাগ করে নেন রাজীব।

ইসরোর কৃতী বিজ্ঞানী জানান, পরিবারে অর্থনৈতিক সংকট ছিল প্রবল। মাধ্যমিকের পরে তা আরও জটিল হয়ে যায়। সেই সময়ে পড়াশোনা দূর, সংসারও ঠিকমতো চলত না। আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল, তাঁকে সংসার চালাতে বেলঘড়িয়ার সরস্বতী প্রেসে কাজে ঢুকতে হয়েছিল। তার পাশেই চলত পড়াশুনা।

উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জিলেট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রাজীব সাহা। ব্যাস, তারপর থেকেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কৃতী এই পড়ুয়াকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০১৭ সালে গেট পরীক্ষায় অসামান্য ভাল ফলাফলের হয়। পড়াশুনার সুযোগ মেলে আইআইটিতে। এরপর আগ্রহবশত ইসরোর পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেখানে তার র‍্যাংক হয় অল ইন্ডিয়ায় ২১। চন্দ্রযান-৩, যে রকেটের দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, সেই রকেট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাজীব সাহার। এ দিন বাংলার এই কৃতী জানান, চন্দ্র অভিযানের সাফল্যে ভারতের প্রতিটি নাগরিকের মতো আমিও খুশি। খুশি আমার পরিবার, পুরনো স্কুলের শিক্ষকরাও।

(Feed Source: news18.com)