‘ম্যায় হুঁ না’র পর সুস্মিতার কাছে কেন ক্ষমা চেয়েছিলেন ফারাহ

‘ম্যায় হুঁ না’র পর সুস্মিতার কাছে কেন ক্ষমা চেয়েছিলেন ফারাহ

সুস্মিতা সেন সম্প্রতি তাঁর একটি বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে একটি বিশেষ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এতদিন পর সেই ঘটনা অবশেষে প্রকাশ্যে আনলেন। জানালেন এই ছবির সেটে ফারাহ খান নাকি তাঁর থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খান অভিনীত ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবিতে কিং খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল সুস্মিতা সেনকে। এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল চাঁদনি চোপড়া। চরিত্রটা ছোট হলেও বেশ সুন্দর এবং ক্ষমতাশালী একটি চরিত্র ছিল। এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী।

এই ছবি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি তিনি জানালেন ফারাহ খান নাকি ছবিটি জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন? কারণ সুস্মিতার চরিত্রটা ভীষণই কম ছিল তাই। যদিও দর্শকরা এই চরিত্রটাকে এত ভালোবাসা দিয়েছিলেন যে সেটা মনে হয়নি আর পরবর্তীকালে। প্রাথমিক ভাবে পোস্টারও শাহরুখ, অমৃতা রাও এবং জায়েদ খানের ছবি ছিল। কিন্তু ছবি মুক্তির পর বাদশার পাশাপাশি চর্চায় উঠে আসেন সুস্মিতা।

হিউম্যানস অব বম্বেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘ফারাহ খান আমায় ডাকেন এবং বলেন সুস আমি ফাইনাল এডিটটা দেখলাম। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। শাহরুখ ছাড়াও অমৃতা, জায়েদের চরিত্রটা বড় হলেও তোমাকে সেই অর্থে দেখাই যায়নি। আমি তখন ওঁকে বলি ঠিক আছে ফারাহ। আমাদের একটা চুক্তি হয়েছিল সেই অনুযায়ী তুমি তোমার কথা রেখেছ, আমি আমার কথা রেখেছি। ব্যাস। এখন কাজটা হয়ে গিয়েছে আর এটা নিয়ে ভেবো না।’

কিন্তু মুখে যতই এসব বলুন না কেন ভিতর ভিতর ভেবেছিলে ‘সেকি! ছবিতে আমি সেই অর্থেই নেই! ফিল্ম সিটিতে স্ক্রিনিং হয়েছিল ছবিটার। তারপর থেকেই আমার ফোন বাজা শুরু হল। যশ জি (চোপড়া), গোটা ইন্ডাস্ট্রি আমায় ফোন করতে শুরু করেছিল। আমি ভয় ভয়ে ফোন ধরি। আর সবাই তারপর একই কথা বলতে থাকে যে আমার অভিনয় নাকি দুর্দান্ত হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলেন দ্বিতীয় ভাগে প্রতিটা স্ক্রিনে তোমায় দেখতে পেলে ভালো লাগত।’

প্রসঙ্গত অভিনেত্রীকে শেষবার তালি ছবিটি দেখা গিয়েছে। এখানে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের একজন হয়ে ধরা দিয়েছেন, বলা ভালো রূপান্তরকামী অ্যাক্টিভিস্ট শ্রীগৌরী সাওয়ান্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)