মেয়ের জন্ম দিয়েছে মা, ক্ষুব্ধ স্বামী নাকি স্ত্রীকে কেটে ভাসিয়ে দিল

মেয়ের জন্ম দিয়েছে মা, ক্ষুব্ধ স্বামী নাকি স্ত্রীকে কেটে ভাসিয়ে দিল

উত্তর দিনাজপুর: কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে খুন করে ডোবায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।

পরিবার সূত্রে জানা যায় গত পাঁচ বছর আগে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালাগজের তরুনা খাতুনের সঙ্গে চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগির বস্তিতে ফরিদ হুসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ে হওয়ার পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। মেয়ের বয়স এখন তিন বছর। বিবাদের বিষয় নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশিও হয়। অভিযোগ জানানো হয় চোপড়া থানাতেও।

মৃতার বোন ফরিনা খাতুনের অভিযোগ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দিদির সঙ্গে কথা হয়। তারপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা যায়নি জামাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তাঁর স্ত্রী বাড়িতে নেই খোঁজাখুঁজি চলছে।

রবিবার সকালে জাগির বস্তিতে ফরিদ হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবায় মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন এবং চোপড়া থানাকে। পুলিশ গিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মেয়ের পরিবারের লোকজনেরা চোপড়া থানায় এসে অভিযুক্ত ফরিদ হোসেনের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বেশ কিছুক্ষণ চোপড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান মেয়ের পরিবারের লোকজনেরা । বর্তমানে তরুনা খাতুন দু মাসের গর্ভবতী ছিল বলে জানিয়েছেন মেয়ের পরিবারের লোকজনেরা। কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই স্ত্রীকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।

(Feed Source: news18.com)