‘প্রজ্ঞান’-এর প্রথম পরীক্ষাতেই হদিস সালফারের, খোঁজ জারি হাইড্রোজেনের: ইসরো

‘প্রজ্ঞান’-এর প্রথম পরীক্ষাতেই হদিস সালফারের, খোঁজ জারি হাইড্রোজেনের: ইসরো
কলকাতা: চাঁদের মাটিতে প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই সালফারের (Sulphur) হদিস পেল রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। দক্ষিণ মেরুর কাছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে রোভারের ভিতরে রাখা Laser-Induced Breakdown Spectroscope বা LIBS কোনও রকম ধোঁয়াশা ছাড়াই সালফারের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এর সঙ্গে আরও কিছুর অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে বলে একেবারে সাম্প্রতিক পোস্টে জানাল ইসরো (ISRO)।

কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? Al, Ca, Fe, Cr, Ti, Mn, Si, and O-এগুলির অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে, দাবি ইসরোর।  আপাতত, হাইড্রোজেনের খোঁজে রয়েছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’।

কী জানা গেল?
পর্যায় সারণী বা পিরিয়ডিক টেবল অনুযায়ী, এই আটটির নাম যথাক্রমে, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফেরাস (আয়রন), ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেন। ইসরোর বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাথমিক বিশ্লেষণে এই আটটিরই অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছিল। আরও গভীর বিশ্লেষণ করে ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং অক্সিজেনের অস্তিত্ব মিলেছে। হাইড্রোজেনের জন্য এর পর আরও আঁতিপাঁতি হয়ে খোঁজ চালাচ্ছে রোভার। সংশ্লিষ্ট গ্রাফে এরই বিবরণ তুলে ধরতে চেয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এমন কিছু যে আসতে চলেছে, তার ইঙ্গিত আগেরই পোস্টে দিয়ে রেখেছিল ইসরো। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ‘প্রজ্ঞান’-এর পাঠানো বার্তার কথা জানিয়ে সেই পোস্ট দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিল প্রতিশ্রুতি, ‘সেরা অভিজ্ঞতা এখনও বাকি রয়েছে…’। তবে কি এই অভিজ্ঞতার কথাই বলছিল প্রজ্ঞান? শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীমহলে।

বিতর্ক, হাইড্রোজেন ও নাসা…
চন্দ্রপৃষ্ঠে এই মুহূর্তে যে হাইড্রোজেনের খোঁজে ব্যস্ত রয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার, সেই হাইড্রোজেনের অস্তিত্বের কথা আগেই জানা গিয়েছে বলে দাবি করে নাসা। তাদের বক্তব্য,  চাঁদের চির অন্ধকারে থাকা অংশের মেরু অঞ্চলের ক্রেটারে, নাসার পাঠানো ‘লুনার অরবিটার’, নব্বইয়ের দশকেই প্রাণের বিকাশের জন্য আবশ্যক তরলের হদিস পেয়েছিল। ৬০-এর দশকের শেষ দিক ও ৭০-এর দশকে মহাকাশচারীদের নিয়ে যে অ্যাপোলো অভিযান হয়, ২০০০ সালের পরে সেই অভিযান থেকে আনা নমুনার ফের বিশ্লেষণ করেও চাঁদের মাটিতে হাইড্রোজেনের হদিস পাওয়া যায়, দাবি এমনও। কিন্তু এই অভিযানগুলি নিয়েই বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। ফলে তার ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। তাই সার্বিক ভাবেই, ইসরোর প্রজ্ঞানের দিকে তাকিয়ে বহু মানুষ।

(Feed Source: abplive.com)