আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে শিক্ষার্থীদের আগমন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে কানাডায়। সে দেশের অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০২৩ সালে অর্থাৎ চলতি বছরে প্রায় ৯ লক্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য এসেছে। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই রয়েছে অভিবাসন দফতর। কানাডার শিক্ষাগতমান অন্য বহু দেশের তুলনায় উন্নত হওয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীরা এই দেশের শিক্ষা অর্জনের জন্য আসে। কেউ পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে আবার আজকাল একটা বড় অংশের ছাত্রছাত্রী প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলিতেও শিক্ষা লাভের জন্য আসে। এর ফলে সাময়িক হলেও আন্তর্জাতিক অভিবাসনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্ক মিলার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সে দেশে যাওয়ার ফলে চাপ পড়েছে আবাসন বন্টনের ক্ষেত্রেও। এছাড়াও সার্বিকভাবে এত বিপুল ছাত্রছাত্রী পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলিতে লেখাপড়া শিখতে আসার ফলে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েই চিন্তিত অভিবাসন মন্ত্রী। বিদেশি ছাত্রদের নিয়ে আসা একটি লাভজনক ব্যবসাতেও পরিণত হয়েছে। এর ফলে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলিতে ভর্তি কিংবা লেখাপড়া ব্যবস্থা করার নাম করে জালিয়াতিও চলছে চরমে। কিছু লোক ঘুর পথে কানাডায় প্রবেশের সুযোগও পেয়ে যাচ্ছে। এই সকল বিষয় নিয়েই চিন্তিত সে দেশের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন মন্ত্রক। বিদেশ থেকে যারা পড়তে আসছেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থী পিছু ২০ থেকে ৩০ কানাডিয়ান ডলার আয় করছে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। কিছু ব্যক্তি সৎ পথে অর্থ উপার্জন করলেও বহু ক্ষেত্রেই জালিয়াতির খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং এই বিষয়টাই মূল উদ্বেগের বিষয় কানাডা প্রশাসনের কাছে।
অভিবাসন মন্ত্রী আরও বলেন, তার উদ্বেগ পাবলিক ইউনিভার্সিটি গুলি নিয়ে নয়। প্রধানত বেসরকারি কলেজগুলি ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে উঠছে। আর এখানেই দেখা দিচ্ছে জালিয়াতি, লোক ঠকানোর মত ঘটনা। মন্ত্রী মার্ক মিলার আরও মন্তব্য করেছেন, সরকার আবাসন সংকট কমানোর জন্য প্রতিবছর কানাডায় পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের অনুমোদন সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার কথা ভাবছে। কিন্তু, এতেই সার্বিকভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। একদিকে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিড় বাড়ছে কানাডায়। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক জালিয়াতি থেকে আবাসন সংকট, বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে কানাডা প্রশাসন।
(Feed Source: hindustantimes.com)