জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাবে আকাশে। আকাশ পর্যবেক্ষক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই আগ্রহী সেই বিষয়টি নিয়ে– সুপার ব্লু মুন (Super Blue Moon)! ৩০ ও ৩১ অগস্ট এই নীল চাঁদের দৃশ্য দেখা যাবে। জোড়া পূর্ণিমায় আকাশে নীল চাঁদ। একই মাসে দুই পূর্ণিমা থাকলে তাকে সুপারমুন (Supermoon) বলে। ২০১৮ সালে এমন ঘটেছিল। অগস্টের ১ তারিখেও দেখা গিয়েছিল সুপারমুন। থালার মতো চাঁদ উঠেছিল। আবার উঠবে আজ ৩০ এব আগামীকাল ৩১ তারিখে। তবে এবার সুপারমুনের সঙ্গে ‘ব্লু মুন’ দেখা যাবে।
চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে পাক খেতে খেতে কখনও কাছে আসে, কখনও দূরে যায়। চাঁদের অবস্থান যখন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে হয় তখন তাকে বলে ‘অ্যাপোজি’। যখন পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্বটা সবচেয়ে কম হয় তখন তাকে বলে ‘অনুভূ’, ইংরেজিতে ‘পেরিজি’। এই সময়ে পূর্ণিমা হলে চাঁদ হয়ে যায় ‘সুপারমুন’। যা এখন হচ্ছে।
‘সুপারমুন’ সবচেয়ে ভালো কখন দেখা যাবে?
যখন প্রকৃতির ‘ন্যাচারাল লাইট’ কমে যাবে, তখনই ব্লু মুন ভালো দেখতে পাওয়ার কথা। আজ, বুধবার বাকি বিশ্বে সন্ধের দিকে এটা ভালো দেখতে পাওয়ার কথা, তবে ভারতবাসী সুপার মুন সবচেয়ে ভালো দেখবেন ভোরের দিকে।
এক মাসে কেন দুই পূর্ণিমা?
একটি পূর্ণিমা থেকে অপর পূর্ণিমার ফারাক হয় গড়ে সাড়ে ২৯ দিন। ১২টি পূর্ণিমা হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন ৮ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। মোটামুটি বললে ওই সাড়ে তিনশো তুয়ান্ন দিন। এদিকে একটি বছরের মোট দিনসংখ্যা ৩৬৫। ফলে এক সৌর বছর থেকে এক চান্দ্র বছরের মধ্যে ১১ দিনের ফারাক ঘটে। এই ফারাকের জন্যই প্রতি তিন বছর অন্তর এক মাসে দু’টি করে পূর্ণিমা হয়। এই ভাবে প্রতি ১৯ বছরে গড়ে সাত বার নীল চাঁদের দেখা মিলতে পারে!
পরের ব্লু মুন কত বছর পরে?
নাসা জানিয়েছে, এর পরের নীল চাঁদ-পর্ব ঘটবে ১৪ বছর পরে। ২০৩৭ সালে। একবার জানুয়ারিতে, আর একবার মার্চে।
(Feed Source: zeenews.com)