আমাজন সিইও অ্যান্ড জেসি ফের সতর্ক করলেন কর্মীদের। বেশ কয়েক মাস ধরেই অন্যান্য বহু বহুজাতিক সংস্থার মতোই আমাজন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিসে আসতে হবে কর্মচারীদের। কিন্তু দূরবর্তী কর্মীদের জন্য এই নিয়ম শিথিল করা ছিল এতদিন। এবার সিইও তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই সতর্কবাণী শোনালেন। এই মাসের শুরুর দিকে জ্যাশি কর্মীদের একটি বৈঠকে সপ্তাহে তিন দিন অফিসে আসার বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেন। বেশ কিছু কর্মচারী অনলাইন কর্ম প্রক্রিয়া ছেড়ে অফিসে আসার আদেশটিকে গুরুত্ব সহকারে না নেওয়ায় অসন্তুষ্ট অকর্তৃপক্ষ। মে মাস থেকেই তিন দিন অফিসে আসার নিয়ম চালু করেছে কোম্পানি। তবে অনেকেই নিয়ম মানেনি।
এই মাসের শুরুর দিকের মিটিং চলাকালীন জ্যাশি অফিসে আসার জন্য আহ্বান জানায় কর্মীদের। আমাজনের সিইও গুরুত্ব সহকারে জানিয়েছেন এই কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে তারা একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন, কারা অফিসে আসতে ইচ্ছা প্রকাশ করছে না সেই সকল কর্মচারীদের অন্য সংস্থায় কাজ করবার জন্য বার্তা দিয়েছেন তিনি।
আমাজন সিইও আরও বলেন, ‘এটি অস্বীকার করা কিংবা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার মতো সময় এখন আর নেই। আমি এটাও বুঝতে পারছি, আপনারা অনেকেই এ বিষয়ে একমত নাও হতে পারেন এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। সম্ভবত এই সংস্থায় আপনার কাজ করা আর সম্ভব নয়, কারণ আমরা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’ যারা সপ্তাহে তিনদিন অফিস যাওয়ার নিয়মটি মানবেন না কার্যত তাদের কাছে অফিসের দরজা বন্ধ করলো আমাজন।
জুলাই মাস থেকেই অফিসে ফেরার বিষয়ে অনেক কর্মচারী কর্তৃপক্ষের কাছে অসম্মতি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেই সময় থেকেই তাদেরকে বলা হয়েছিল অন্য কোনও কাজ খুঁজে নেওয়ার জন্য। কারণ আগের মত অনলাইন ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে কাজ আর সম্ভব নয়। ইনসাইডার-এর দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে সংস্থাটি কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতির বিষয়ে ফের একবার সতর্কবাণী দিয়েছে। আগামীতে দেখার কী ভাবে কর্মচারীরা আমাজন এই নতুন নীতিতে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে।
(Feed Source: hindustantimes.com)