শাদাবের ৪ উইকেট, নেপালের বিরুদ্ধে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পাকিস্তানের

শাদাবের ৪ উইকেট, নেপালের বিরুদ্ধে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পাকিস্তানের

মুলতান: শুরুটা করেছিলেন বাবর আজম, ইফতিকার আহমেদ। শেষটা করলেন শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদিরা। নেপালের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২৩৮ রানের বিশাল ব্য়বধানে জয় ছিনিয়ে নিল পাকিস্তান। ৩৪৩ রান তাড়া করতে নেমে নেপালের ইনিংস ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানেই শেষ হয়ে যায়। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে এই বড় জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে পাকিস্তানের।

৩৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল নেপাল। অনভিজ্ঞ এই দলটির পক্ষে শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, নাসিম শাহদের সামলানো বেশ কঠিন তা সবাই জানত। তবুও কতটা লড়াই দিতে পারেন নেপালের ব্য়াটাররা তার দিকেই নজর ছিল। কিন্তু প্রথম ওভারেই দুটো উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করে ফেলেন। নেপালের প্রথম তিন ব্যাটারের কেউই দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। মিডল অর্ডারে আরিফ শেখ ২৬ রান করেন। সোমাল কামি ২৮ রান ও গুলশান জানা ১৩ রানের ইনিংস খেলেন। আর কেউই ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেননি। শাহিন আফ্রিদি ২ উইকেট তুলে নিলেও এদিন ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য মাঠ ছেড়েছিলেন। যদি ফের ফিরে আসেন তিনি। হ্যারিস রউফ ২ ও নাসিম শাহ ও মহম্মদ নাওয়াজ ১টি উইকেট নেন। তবে পাক বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন এদিন শাদাব খান।

এর আগে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক। ইমাম উল হক ও ফাখর জামান ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন পাকিস্তানের হয়ে। ফাখর জামান ১৪ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অন্য়দিকে ৫ রান করে আউট হন ইমাম উল হক। এরপর মহম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন বাবর আজম। এই দুজন এর আগেও পাকিস্তানের বহু ম্যাচে জয়ের সঙ্গী। এদিনও শুরুটা দারুণ করেছিলেন রিজওয়ান ও বাবর। তবে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় রিজওয়ান ফিরে যান। ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। নিজের ভুলেই রান আউট হয়ে যান তিনি। ৫ রান করে আঘা সলমান। বাবর নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করার পথে ১০টি বাউন্ডারি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানের মাথায় আউট হন বাবর। নিজের ইনিংসে ১৪টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান বাবর।

অন্যদিকে ইফতিকার শুরুতে একটু থিতু হলেও অর্ধশতরানের পর হাত খোলেন। বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দেন নেপালের বোলারদের বিরুদ্ধে। ৭১ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ১১টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান ইফতিকার।

(Feed Source: abplive.com)