‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত করব’, বললেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত করব’, বললেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

কলকাতা: ফের শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট উদ্বোধনে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন “প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত করব। আপনারা আন্দোলন করুন আর না করুন। অনেকদিন ধৈর্য ধরেছেন। আইনি জট ছাড়ার মুখে, আমরা চাকরি দিতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী গভীরভাবে চিন্তিত।” প্রসঙ্গত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদে রয়েছে কয়েক হাজার। এর আগেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত পেশ হয়নি। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি ও প্রস্তুত করে ফেলা হয়েছে। সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি পেশ করা হতে পারে।

একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে সেই বিধি মন্ত্রিসভায় পাস হলেই স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞাপন দেবে। যদিও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি কবে মন্ত্রিসভায় পেশ হবে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর পরে ছাত্র ভোট করানোর কথা বলেছেন। তার কিছু আইন সংশোধনের কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলব। ২০১৭ সালের বিল সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুত বিধানসভায় বিল আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলেছেন পুজোর পরে ভোট হবে তেমন হবে।” ছাত্র ভোটের আইনে বেশ কিছু বদল হতে পারে বলেই উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।

অন্য দিকে ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন “আমরা একটা সমীক্ষা চালিয়েছিলাম সেটা হল যে স্কুলে বেশি শিক্ষক আছে এবং কোথায় কম শিক্ষক আছে। যেখানে কম শিক্ষক আছে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের।”এদিন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হন শিক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন “বিহার, কেরলে হয়েছে কিন্তু আমাদের রাজ্যে সব থেকে ভয়ঙ্কর হচ্ছে। আইন অনুযায়ী যতখানি করা যায় করতে পারব। এইভাবে দফতরকে বাইপাস করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বার হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ এসএসসি নেবে বলেই আধিকারিকদের দাবি। মূলত সুপারিশপত্র দেওয়া হবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর। যদিও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের পর পরও প্যানেল নিয়েও অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

(Feed Source: news18.com)