কর্মীদের জামাই আদর করার দিন শেষ, ছোটো শহরে বসে কাজ করলে হচ্ছে আর্থিক ক্ষতি

কর্মীদের জামাই আদর করার দিন শেষ, ছোটো শহরে বসে কাজ করলে হচ্ছে আর্থিক ক্ষতি

দেবিনা সেনগুপ্ত

‘একদম সে ওয়াক্ত বদল দিয়া, জসবাত বদল দিয়ে, জিন্দেগি বদল দি’-একটা মিম জনপ্রিয় হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাগ্যবদল নিয়ে। কিছুটা সেরকমই অবস্থা ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের চাকরির বাজারে। বছরখানেক আগেও কার্যত জামাই আদর করে চাকরি প্রত্যাশীদের ডেকে নিয়ে যাচ্ছিল সংস্থা। হঠাৎ করেই সমীকরণ বদলে গিয়েছে। বিশেষত যারা টায়ার টু বা থ্রি শহর থেকে কাজ করতে চাইছে, তাদের জন্য ক্রমশই শক্ত হয়ে যাচ্ছে বিষয়টা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ সংস্থাই এখন চাইছে কর্মীরা অফিস থেকে কাজ করুক। ফলে ছোটো শহরের কর্মীদের টেক হোম স্যালারি প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে গড়ে। তার কারণ শুধু যে মহার্ঘ ভাতা পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে তা নয়, ছোটো শহর থেকে কাজ করার জন্য যে অতিরিক্ত ইনসেনটিভ দেওয়া হত সেটাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আইটি সেক্টরে মূলত ৪০ শতাংশ নিয়োগ কমেছে। এই মাইনের কড়াকড়ির নেপথ্যে সেটাও একটা বড় ফ্যাক্টর। একই ভাবে আউটসোর্সিং, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোম্পানিরা কাটছাঁট করছে বলে জানিয়েছেন নিয়োগকারীরা।

অনেকে ছোটো শহরে জয়েন করলেও তাদের একই মাইনেতে বড় শহরে আসতে বলা হচ্ছে। সেখানে অনেকে বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়ছেন। অনেক কর্মচারী স্যাটেলাইট অফিসে যাচ্ছেন, এবং হাইব্রিড কাজের ব্যবস্থাটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

এক বছর আগে, আইটি এবং এফএমসিজি সংস্থাগুলি বিজয়ওয়াড়া, কোয়েম্বাটুর, ভুবনেশ্বর, বিশাখাপত্তনম এবং আহমদাবাদের মতো শহরগুলি থেকে নিয়োগ করছিল কারণ পেশাদাররা ৩০ শতাংশ হাইক পেলেই চাকরি পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক ছিলেন, অন্যদিকে বড় শহরের প্রার্থীরা তাদের বর্তমান বেতনের দ্বিগুণ দাবি করেছিলেন। কিন্তু এখন খেলা পুরোটাই ঘুরে গিয়েছে।

তবে এর মধ্যেও রকমভেদ আছে। সিনিয়র পজিসনে ছোটো ও বড় শহরে মাইনের তফাত ১৫ শতাংশ মত। অন্যদিকে ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে  জুনিয়র মেট্রোতে ৪-৪.৫ লক্ষ টাকায় নিয়োগ করা হয় যেখানে ছোট শহরগুলিতে দিতে হয় ৩ লক্ষ টাকা, জানালেন কুয়েস আইটি স্টাফিং-এর প্রধান কর্মকর্তা বিজয় শিবরাম।

অবস্থানের উপর নির্ভর করে বেতনের পার্থক্য ৫-৪০ শতাংশ হতে পারে৷ মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি কোভিডের ঠিক পরে অতটা কড়া ভাবে দেখা হচ্ছিল না, কিন্তু এখন নজরে রয়েছে বলে জানান টিমলিজ সার্ভিসেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতাা ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী।

(Feed Source: hindustantimes.com)