শিডিউল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর ৯০টির বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর বাতিল করা হবে ১০০-র বেশি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এর মধ্যে অধিকাংশ ট্রেনই চলে দিল্লি থেকে দক্ষিণ হরিয়ানার সোনিপত-পানিপথ, রোহতাক, রিওয়ারি ও পালওয়াল রুটে। এছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর বাতিল থাকতে দিল্লি-রিওয়ারি এক্সপ্রেস স্পেশাল ও রিওয়ারি-দিল্লি এক্সপ্রেস স্পেশাল ট্রেন।
প্রসঙ্গত, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে G20 সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। সেই উপলক্ষে বহু রাষ্ট্রনেতা মেগা ইভেন্টে যোগ দিতে সামিল হবেন। তাই সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। G20-র সদস্য দেশ ছাড়াও, অতিথি দেশের তরফেও প্রতিনিধি হাজির থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। G20 গ্রুপে থাকা দেশগুলি হল- আর্জেন্তিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাড়া, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
G20 সম্মেলনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে আকাশপথেও। সূত্রের খবর, তার জন্য ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (IGI Airport) যাতায়াত মিলিয়ে ৮-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ১৬০টি ঘরোয়া উড়ান বাতিল (Domestic Flight Cancelled) করা হয়েছে।
আইজিআই বিমানবন্দরের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড জানিয়েছে, ৮-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৮০টি আইজিআই-গামী বিমান এবং ৮০টি আইজিআই-থেকে ফেরার বিমান বাতিল করার জন্য তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিভিন্ন উড়ান সংস্থা। তবে বিমানের পার্কিং স্পেসের অভাবের জন্য এই বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে, এমন নয়। সঙ্গে দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের তরফে এও জানানো হয়, ওই সময়ে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কোনও পরিবর্তন হবে না। তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ভারত যে জি-২০ শীর্ষবৈঠকের আয়োজক দেশের ভূমিকা পালন করছে, এতে আমরা যারপরনাই গর্বিত। তবে উড়ান বাতিল নিয়ে যে খবর রয়েছে তার সঙ্গে পার্কিং স্পেসের অভাবের কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।’
(Feed Source: abplive.com)