প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ স্বীকৃতি পেল NCERT, এতে কী বদলাতে চলেছে?

প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ স্বীকৃতি পেল NCERT, এতে কী বদলাতে চলেছে?

‘ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়’-এর মর্যাদা পেল ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি। ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য গতবছরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বা ইউজিসি-র কাছে আবেদন জানিয়েছিল এনসিইআরটি। এনসিইআরটি-র এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি চিন্তা ভাবনা করে বেশ কয়েকদিন। এরপর এনসিইআরটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘ডিমড টু বি ইউনিভার্সিটি’-র মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা করল ইউজিসি। গত শুক্রবার এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেদিন আবার এনসিইআরটি-র ৬৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসও ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বক্তৃতা রাখার সময় ধর্মেন্দ্র প্রধান এই ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, এনসিইআরটি-র আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলিতে নতুন কোর্স কার্যকর করার জন্য স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজন পড়েছিল। এর আগে এনসিইআরটি-কে এই ধরনের কোর্স চালু করার জন্য স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিতে হত। এই নিয়ে এনসিইআরটির নির্বাহী কমিটি বৈঠক করেছিল। এরপরই ইউজিসির কাছে গতবছর ‘ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়’ মর্যাদা পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এনসিইআরটি-র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি হল এই নির্বাহী কমিটি বা এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এই কমিটির সভাপতি। এদিকে ‘ডিমড টু বি ইউনিভার্সিটি’ মর্যাদা পাওয়ায় এনসিইআরটি নিজস্ব স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের অনুমতি পাবে।

এদিকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘ডিমড ইউনিভার্সিটি’ হতে গেলে কী করতে হবে, তার নয়া পর্যালোচিত বিধি প্রকাশ করা হয়েছিল গত জুন মাসেই। ‘ইউজিসি (ইনস্টিটিউশন ডিমড টুবি ইউনিভার্সিটিজ) রেগুলেসন ২০২৩’ শীর্ষক বিধি ২০১৯ সালের বিধির পরিবর্তে আনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের যে বিধি অনুযায়ী, কোনও একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যদি ২০ বছর না হয়, তাহলে তা ‘ডিমড ইউনিভার্সিটি’র আওতায় আসে না। তবে নয়া বিধি অনুযায়ী, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘ডিমড ইউনিভার্সিটি’ হতে গেলে ন্যাক গ্রেডিং, এনবিএ গ্রেডিং, এনআইআরএফ ব়্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টিও নজরে রাখতে হবে। ন্যাক-এর গ্রেড পয়েন্ট সিজিপিএর ক্ষেত্রে ৩.১ স্কোর থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের। এছাড়াও এনবিএ অ্যাক্রিডেশন, এনআইআরএফ সমেত একাধিক ক্ষেত্রে বিধির নানান শর্ত রয়েছে। বিধি বদলানো প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষান্ত্রী জানিয়েছিলেন, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান আগের চেয়ে ভালো হয়, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।

ওদিকে সম্প্রতি নিজেদের সিলেবাস কমিটিতে রদবদল করেছে এনসিইআরটি। পাঠ্যবই ও সিলেবাস নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়ার জন্য গঠিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন লেখিকা সুধা মূর্তি, গায়ক শঙ্কর মহাদেবন এবং দুই বাঙালি অর্থনীতিবিদ – বিবেক দেব রায় ও সঞ্জীব সান্যাল। কমিটিতে রাখা হয়েছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ চামু কৃষ্ণ শাস্ত্রীকেও। নতুন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আচার্য মহেশ চন্দ্র পন্থকে।

(Feed Source: hindustantimes.com)