শুভব্রত মুখার্জি: ডুরান্ড ফাইনালের ডার্বি ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল চড়চড় করে। ফাইনালের আগে থেকেই টিকিট নিয়ে হাহাকার ছিল অব্যাহত। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের তাঁবুর সামনেই ফাইনালের আগে টিকিটের জন্য দীর্ঘ লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। যাদের অধিকাংশই টিকিট পাননি। টিকিট না পেয়ে তাদের ক্ষোভ তারা উগড়ে দেন। ক্লাবের সামনের রাস্তাতে দুই ক্লাবের সমর্থকরা যৌথভাবে রাস্তা অবরোধও করেন। রবিবার সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফাইনালে টিকিট না পেয়ে অনেকেই মাঠে ঢুকতে পারেননি। এমন অবস্থায় টিকিট ছাড়াই মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করেন অত্যুৎসাহী বেশ কিছু সমর্থক। বিধাননগর পুলিশ ম্যাচ শুরুর আগে এবং ম্যাচ চলাকালীন এবং পরবর্তীতে একাধিক সমর্থককে গ্রেফতার করেন বিনা টিকিটে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করার কারণে। পুলিশ সূত্রে খবর ৮১ জন এমন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মরশুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বিকে ঘিরে টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। দীর্ঘ ১৬৫৭ দিন বাদে প্রথম ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে তাদের সমর্থকরা ছিল উজ্জীবিত। আবার অন্যদিকে ডুরান্ডের ফাইনালেই গ্রুপ লিগের হারের বদলা নিতে মুখিয়ে ছিল মোহনবাগান। ফলে মুখিয়ে ছিল মোহন সমর্থকরাও। ফলে ফাইনালে দুই দল ফের মুখোমুখি হওয়ায় উন্মাদনার পারদ আরও চড়েছিল। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকিটের যোগান বাজারে ছিল না। ডুরান্ড ফাইনালের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল শুক্রবার সকালে। প্রথম দিনের শেষেই আয়োজকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন সব টিকিট শেষ অর্থাৎ ‘সোল্ড আউট’। ফলে সকাল থেকে ময়দানের দুই প্রধানের ক্লাব তাঁবুর বাইরে প্রবল বৃষ্টির উপেক্ষা করে যেসব হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করেছিলেন টিকিট পাবে বলে ফলে তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দেয় তাঁরা সব টিকিট গেল কোথায়? কারণ ৬০-৭০ হাজার টিকিট এইভাবে নিমেষে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা নয়। বিস্মিত ছিলেন দুই ক্লাবের কর্তারাও। রবিবার ম্যাচ শুরুর আধ ঘণ্টা আগে দেখা যায়, স্টেডিয়ামে অর্ধেক আসনও ভর্তি হয়নি।
দু’দলের সমর্থকেরা যারা এদিন যুবভারতীতে এসে পৌঁছান তাঁদের সবার কাছে যে টিকিট ছিল না স্পষ্ট হয়ে যায়। আর সেই কারণেই খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক সমর্থক মাঠের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। যদি শেষ মুহূর্তে কোনওভাবে টিকিট পেয়ে মাঠে ঢোকা যায় তার চেষ্টাতেই ছিলেন তারা। বাস্তবে তা যখন হয়নি তখন অনেকে চেষ্টা করেছিলেন বিনা টিকিটেই মাঠে ঢুকতে। তাতেই সমস্যার সম্মুখীন হন তারা। বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয় ৮১ জনকে।
রবিবারের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড জিতে নেয় মোহনবাগান। এটি ছিল তাদের ১৭ তম বার এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়। শেষ ৩০ মিনিট মোহনবাগান দশ জনে খেলেও ম্যাচ জিততে সমর্থ হয় ।
(Feed Source: hindustantimes.com)