ক্যান্ডি: বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে সহজ জয় পেল ভারতীয় দল। একইসঙ্গে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা পাকা করে নিল টিম ইন্ডিয়া। নেপালের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ছন্দে ফিরলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। বৃষ্টির কারণে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫। ১৭ বল বাকি থাকতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জেতে মেন ইন ব্লুজরা।
ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। কিন্তু শুরুটা ততটা ভালো হয়নি ভারতের। প্রথম ৫ ওভারে ৩টি ক্যাচ মিস করে ভারতীয় দল। সেই সুযোগে প্রথম উইকেটে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ করে নেপাল। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়লেও নেপালের ব্যাটাররা ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। অর্ধশতরান করেন আসিফ সেইখ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এছাড়া ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সোমপাল কামি। এছাড়া ২৯ রান করেন দীপেন্দ্র সিং আইরে ও ২৩ রান করেন গুলশান ঝাঁ। শেষে পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। ভারতীয় বোলারদের যেভাবে মোকাবিলা করেছে নেপাল তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর।
এরপর ভারত ২৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামে। কিন্তু ১৭ রান করার পরই বৃষ্টি নামে পাল্লেকেলেতে। নেপালের ইনিংসের সময় একবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। তবে তা অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকে। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়। সেই সময় ডিএলএস নিয়মে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫।
বিরতির পর মাঠে নেমে প্রথম কয়েক ওভার একটু সেট হতে সময় নেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। আর সেট হতেই মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করেন দুই তারকা। ঝড়ের গতিতে শতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন। ব্যক্তিগত অর্ধশতরানও করেন দুই তারকা ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২০.১ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ৭৪ রানে রোহিত শর্মা ও ৬৭ রানে শুভমান গিল অপরাজিত থাকেন।