বিমানে থাকে না নেটওয়ার্ক, কিন্তু কার্ডে লেনদেন করা যায়, জানুন কীভাবে

বিমানে থাকে না নেটওয়ার্ক, কিন্তু কার্ডে লেনদেন করা যায়, জানুন কীভাবে

বিমান উড়ান শুরু হলেই সাধারণত সেলুলার ডেটা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় যেকোনও ফোনকে ‘ফ্লাইট মোড’-এ রাখতে বলা হয়। ফোন ‘ফ্লাইট মোড’-এ পাঠিয়ে দিলে তাতে ইন্টারনেট সম্পর্কিত কোনও কাজই করা যায় না। উড়ন্ত বিমানের ভিতরে কোনও ভাবেই WiFi সংযোগ বা নেটওয়ার্ক নেই। অথচ, বিমানে উড়ানের সময় অনেকেই নানা রকম খাদ্য সামগ্রী কিনে থাকেন। নগদের পরিবর্তে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের সাহায্যেও সেই সব খাদ্যের দাম মেটানো হয়। কিন্তু কীভাবে এটা সম্ভব!

সাধারণত কোনও দোকানে বা শপিং মলে কার্ড দিয়ে লেনদেন করতে গেলে জোরালো নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। যদি কোথাও ইন্টারনেটের গতি ধীর হয় বা তখন কার্ড সোয়াইপ করার যন্ত্রটি কাজই করে না। তাহলে উড়ন্ত বিমানে কোনও নেটওয়ার্ক না থাকলেও কীভাবে কার্ডের সাহায্যে লেনদেন করা সম্ভব হয়! এই প্রশ্ন অনেকর মাথাতেই আসে। জেনে নেওয়া যাক সঠিক উত্তর—

মেশিন কীভাবে কাজ করে?

উড়ানের সময় কোনও যাত্রী এই ভাবে কার্ড দিয়ে লেনদেন করলে তাকে বলা হয় ‘ইন-ফ্লাইট কমার্স’ বা IFC। এখানে কার্ড সোয়াইপ করা হয় ওয়্যারলেস হ্যান্ডহেল্ডের মাধ্যমে। কিন্তু বিমান যখন অবতরণ করে তখনই লেনদেন প্রক্রিয়া করা হয়। IFC প্রযুক্তির জন্য ব্যবহৃত সোয়াইপ মেশিনটি আসলে মেমরি ভিত্তিক।

এটি একটি বিশেষ ধরনের সোয়াইপ মেশিন যা শুধু উড়ানের সময় ব্যবহার করা হয়। ব্যাঙ্কের তরফে সোয়াইপ মেশিনে একটি বিশেষ কোড দেওয়া হয় যাকে বলা হয় MCC বা মার্চেন্ট ক্যাটাগরি কোড। বিমানবন্দরে যদি শুল্কমুক্ত কোনও পণ্য কেনা হয় তবে তার জন্য একটি পৃথক কোড তৈরি করা হয়। গেমিং বা অন্য কোনও পণ্যের জন্য পৃথক।

কোনও বিশেষ কার্ডের প্রয়োজন নেই:

তবে কোনও বিশেষ কার্ডের প্রয়োজন হয় না উড়ানের সময়। ‘ইন-ফ্লাইট পেমেন্ট’-এর জন্য অতিরিক্ত খরচও হয় না। কারণ এর জন্য আলাদা কোনও ফি নেই। উড়ানের সময় প্রদান করা অর্থ তখনই কাটা হবে যখন ওই যাত্রী অবতরণ করবেন।

(Feed Source: news18.com)