গলার নলিকাটা অবস্থায় মুম্বইয়ে উদ্ধার বিমানসেবিকার দেহ, ধৃত হাউজিংয়ের ঝাড়ুদার

গলার নলিকাটা অবস্থায় মুম্বইয়ে উদ্ধার বিমানসেবিকার দেহ, ধৃত হাউজিংয়ের ঝাড়ুদার
মুম্বই: রক্তের ছোটখাটো পুকুর, মাঝখানে গলাকাটা অবস্থায় ভাসছেন তরুণী। গত কাল অর্থাৎ রবিবার সন্ধেয় আন্ধেরির একটি ফ্ল্যাট থেকে এই ভাবেই উদ্ধার হয়েছিল রূপল ওগরের দেহ। তার পর থেকে নেটদুনিয়ায় (social media) তুমুল হইচই। এমন নির্মম ঘটনার নেপথ্য়ে কে? আপাতত তরুণীর খুনে মূল অভিযুক্ত সন্দেহে বিক্রম অটওয়াল নামে এক ৪০ বছরের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। (mumbai police) প্রাথমিক ভাবে খবর, রূপল যে হাউজিং সোসাইটিতে থাকতেন, সেখানকার ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করতেন বিক্রম। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর স্ত্রীকেও। (Air Hostess Death)

ভয়ঙ্কর ঘটনা…
পেশায় একটি বিমানসংস্থার শিক্ষানবিশ বিমানসেবিকা রূপল আদতে ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে গত এপ্রিলে মুম্বইয়ে ‘শিফট’ করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে, মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে বোন  এবং বোনের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতেন ২৫ বছরের তরুণী। তদন্তে জানা যায়, রূপলের বোন ও তাঁর প্রেমিক আপাতত সেখানে নেই।  গত কাল অর্থাৎ রবিবার মেয়েকে বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাননি তরুণীর মা-বাবা। মোবাইল বার বার বেজে কেটে যায়। কিন্তু রূপল ধরেননি। কিছু একটা সন্দেহ করেছিলেন তাঁরা। মুম্বইয়ে তরুণীর বন্ধুদের তাই একবার মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে খোঁজখবর নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বন্ধুরা দেখেন, তাঁর ফ্ল্যাট ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।  পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢোকে। দেখে, রক্তের মধ্যে ভাসছেন রূপল। তাঁর গলার নলি কাটা। দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তরুণীকে। কিন্তু আগেই যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশের দাবি…
পরে পুলিশ বলে, ‘মূল অভিযুক্ত বিক্রম অটওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ক্লু খুঁজতে হাউজিংয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করা হচ্ছে।’ আপাতত তদন্ত চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন এমন পরিণতি হল এই তরুণীর? কে বা কারা এর নেপথ্যে? বিক্রমকেই বা কেন গ্রেফতার করা হল? রূপলের মর্মান্তিক পরিণতির সঙ্গে কি তাঁর এমন কোনও যোগসূত্র পুলিশ পেয়েছে যা প্রকাশ্য়ে আনা হয়নি? হাড় হিম করা এই ঘটনা নতুন করে উস্কে দিয়েছে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের স্মৃতি। ভয়াবহতার নিরিখে শ্রদ্ধার ঘটনা জেনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। অভিযোগ ছিল, প্রথমে শ্রদ্ধাকে  খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে  ‘প্রেমিক’ আফতাব পুনাওয়ালা। তারপরও পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের মুখ আগুনে পুড়িয়েছিল আফতাব। ফ্রিজ কিনে এনে প্রেমিকার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ তাতে ঢুকিয়ে রেখে তারপর রোজ রাতে চলত সেগুলো জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার কাজ।

(Feed Source: abplive.com)