দক্ষিণ দিনাজপুর : জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে তালের বড়া দেওয়াটা প্রাচীন নিয়ম। তালের বড়া-সহ নানারকম সুস্বাদু খাবারের পদ দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয় কৃষ্ণের ভোগ। ভাদ্র মাসে তাল হয়ে থাকে৷ তাই কৃষ্ণের ভোগে তালের রকমারি পদ দেওয়া হয়।
এটা ছাড়া ভোগ অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। আর শ্রীকৃষ্ণকে ভোগ হিসেবে তালের বড়া, ক্ষীর, তালের লুচি,তালের মালপোয়া রকমারি খাবার সাজিয়ে দেওয়া হয়। গোপালকে সকলে বাড়ির আদরের ছোট শিশুর মতো মনে করেন। তাই ভালবেসে তাকে একাধিক ভোগ উৎসর্গ করা হয়।
পাকা তালের রস দিয়ে মিষ্টি বানানো হয়। তালের বড়া কমবেশি সবাই খেয়েছি। কারণ সেটা বাড়িতে প্রায়শই বানানো হয়। কিন্তু কখনও তালের রস দিয়ে মিষ্টি বানাতে দেখা যায় না। যার টেক্সচার তালের বড়ার সঙ্গে না মিলে তেলে ভাজা মিষ্টির সঙ্গে মিলে যেমন গুলাবজামুন, কালোজাম ইত্যাদির মতো লাগে।
তাই এই বছর জন্মাষ্টমীতে আপনি শ্রী কৃষ্ণের ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে পারেন তালের মিষ্টি। যা একেবারেই নতুনত্ব। স্বাদেও অতুলনীয়।অতি সহজেই ঘরে বসে কম সময়ে প্রস্তুত করে নিতে পারবেন আপনি।
তালের মিষ্টি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয়
* উপকরণ :
১. চিনি ২ কাপ
২. জল ২ কাপ
৩. ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার ৩ টেবিল চামচ
৪. তালের ঘন রস ১/২ কাপ
৫. ময়দা ১ কাপ
৬. বেকিং পাউডার দেড় চা চামচ
৭. ঘি/তেল ২ টেবিল চামচ
৮. চিনি ২ টেবিল চামচ
৯. কুঁড়ানো নারকেল
১০. পরিমান মতো সাদা তেল ভাজার জন্য
* প্রণালী :
১. ২ কাপ চিনির সাথে ২ কাপ জল দিয়ে ফুটিয়ে সিরা করতে হবে।
২. ময়দা,বেকিং পাউডার, মিল্ক পাউডার এক সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
৩. তেল,তালের ঘন রস,চিনি, কুঁড়ানো নারকেল এক সাথে ফেটিয়ে নিতে হবে।
৪. মেশানো ময়দা দিয়ে মেখে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।
৫. হাতের তালুতে ঘি মাখিয়ে মেশানো অংশ থেকে অল্প করে নিয়ে নিয়ে গোল করতে হবে।
৬.এরপর তেল গরম করে গরম ডুবো তেলে ডিপ লাল করে ভেজে সিরার মধ্যে ছাড়তে হবে। ৪-৫ ঘণ্টা সিরার মধ্যে রাখার পর উপর থেকে অল্প করে কুঁড়ানো নারকেল দিলেই তৈরি। এরপরেই ভোগ হিসেবে নিবেদন করা যাবে এই তালের মিষ্টি।
যা একেবারেই নতুনত্ব।স্বাদেও অতুলনীয়।অতি সহজেই ঘরে বসে কম সময়ে প্রস্তুত করে নিতে পারবেন।
সুস্মিতা গোস্বামী