‘পঞ্চায়েত দেখেও ওদের শিক্ষা হল না!’ ধূপগুড়ির ফল দেখে বিরোধীদের নিশানা কুণালের

‘পঞ্চায়েত দেখেও ওদের শিক্ষা হল না!’ ধূপগুড়ির ফল দেখে বিরোধীদের নিশানা কুণালের

কলকাতা: ধূপগুড়ি আসনে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেস শিবির। আর এই জয়ের পরে, বাম-কংগ্রেস জোটকে তীব্র আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে INDIA জোট মানে যে রাজ্যে শুধুই তৃণমূল কংগ্রেস সেই বার্তাও দিয়ে রাখল শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “ধূপগুড়িতে বিপুল জয় পেয়েছে, শাসক দল। বিজেপির আসন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আর বড় বড় কথার পরেও জয় এল। INDIA জোট ঘোষণার পরে এই নির্বাচন। ফলে শাসক দলের সঙ্গে বিরোধীদের সমীকরণের নানা নজির ছিল।”

রাজ্যের একমাত্র উপনির্বাচনে জয়ের পরে কুণাল ঘোষ বলেন, ” ইন্ডিয়া মানেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস। জামানত জব্দ হয়েছে কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থীর। বড় বড় কথা বলেছিলেন মহম্মদ সেলিম। শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন সিপিএমের রাহুল সিনহা মহম্মদ সেলিম। এ হল বিজেপির এজেন্ট৷ মানুষের থেকেও এরা শিক্ষা নেয় না। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকে শিক্ষা নিল না। এই ভোটেও শিক্ষা হল না। এই সেলিমের সিপিএম মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।”

কুণাল বলেন, “বিজেপির আসন এই রাজ্যে কেড়ে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ত্রিপুরায় সিপিএমের আসন কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপিকে লড়তে পারে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস মানেই INDIA. এখানে ভোট কাটুয়া হল অধীর চৌধুরী আর মহম্মদ সেলিম। দুটো দল মিলে জামানত জব্দ। এর কৈফিয়ত দিতে হবে।”

একই সঙ্গে কুণাল ঘোষ আক্রমণ করে বলেন, “না জানলে উঠোন বাঁকা অধীর বাবু। সেলিমের পাশে বসে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তার দলকে আক্রমণ করেছেন। তখন মনে ছিল না, ‘জেতার জন্য লড়িনি’। বামেরা একের পর এক পাপ কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আপনারা দালালি করেছেন।” কুণাল বলেন, “দিল্লিতে INDIA জোটে থাকবেন আর এখানে এসে বৃন্দা কারাত সমালোচনা করবেন সেটা হতে পারেনা৷ আপনাদের বিকৃত প্রচার আর রটনা দীর্ঘদিন চলতে পারে না৷ আপনাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরবে।”

(Feed Source: news18.com)