‘রেজিস্ট্রারদের শো কজ’! রাজ্যের নির্দেশিকা দেওয়া হল রাজভবনকেও, নয়া কৌশল?

‘রেজিস্ট্রারদের শো কজ’! রাজ্যের নির্দেশিকা দেওয়া হল রাজভবনকেও, নয়া কৌশল?

কলকাতা: শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কারণে ১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারদের শোকজ করা হয়েছে। আর এ বার সেই শোকজ করার তথ্য জানানো হচ্ছে রাজভবনকেও। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারদেরও যে শো কজ করা হচ্ছে, তার তথ্য জানিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের বিশেষ সচিবকেও সেই তথ্য বা নির্দেশিকার কপি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়। সেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে যাতে বিষয়টি রাজ্যপালের নজরে আনা হয়। আর তা ঘিরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তা হলে কি এ বার রাজ্য নয়া কৌশল নিল? রাজ্যপাল রাজ্যে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করছেন, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে। এমনটাই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয় কে উপাচার্য হচ্ছেন, সেই তথ্য ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছেও নেই। সেই অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর যে রেজিস্ট্রারদের শো কজ করছে, সেই তথ্য অবশ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রাজভবনকেও। যা নিয়ে নতুন করে ফের প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এটা রাজ্যপালকেই বাড়তি চাপ দেওয়ার কৌশল? তার কারণ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন অভিযোগ করেছেন, রাজভবনের নির্দেশেই রেজিস্ট্রাররা এদিনের বৈঠকে আসেননি। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালকে রেজিস্ট্রার দের শোকজ করার তথ্য জানিয়ে পাল্টা রাজ্যপাল কে চাপ দেওয়ার কৌশল বলেই মনে করছে একাংশ। কিন্তু কেন এই কৌশল, তা নিয়ে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি উচ্চশিক্ষা দফতরের।

অন্য দিকে, এ দিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজভবনের নির্দেশেই রেজিস্ট্রাররা বৈঠকে আসেননি। তার পরই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একটি নির্দেশ প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, উপাচার্য রেজিস্টারকে নির্দেশে লিখছেন আচার্যর বারণ রয়েছে বৈঠকে যোগ দিতে তাই তিনি যেন বৈঠকে যোগ না দেন। যা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডাকেন। যে বৈঠকে অবশ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ছিলেন। বৈঠকে ছিলেন কন্যাশ্রী, ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রয়েছে। যদিও ওই দিন বৈঠকে যোগদান করতে আসার সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন “আমাকে কেউ বারণ করেননি বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা তাই আমি এসেছি।”

(Feed Source: news18.com)