থানার সামনে পড়ে রয়েছে অজস্র ইটের টুকরো। পুলিশের সামনেই বাঁশ-লাঠি হাতে দাপাদাপি। তৃণমূলের পার্টি অফিসে তাণ্ডব, আগুন। কংগ্রেস কর্মীদের জমায়েতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের রানিনগর।
এবারের ভোটে, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। সেই উপলক্ষ্য়ে এদিন, বোধনপাড়ার মাঠে কংগ্রেসের ডাকে বিজয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকও। অভিযোগ, সেই জমায়েতে যোগ দিতে আসা বাম-কংগ্রেস কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলকে মদত দেয় পুলিশ।
এরপরই সম্মেলন শেষের পর, ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কংগ্রেস কর্মীরা। তাণ্ডব চালানো হয় রানিনগর বাজারে তৃণমূলের এই পার্টি অফিসে। চেয়ার-আসবাব ভাঙচুর, গুড়িয়ে দেওয়া হয় AC মেশিন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসের সামনে। রানিনগর থানা লক্ষ্য় করেও ছোড়া হয় একের পর এক থান ইট, আধলা। এরপর, ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয় ধরপাক়ড়। লাঠিচার্জ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমাদের মিছিল শুধু পুলিশ বাধা দিয়েছে তা নয়, নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে, কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে পুলিশ মারধর করে। সেখানকার কংগ্রেস কর্মীরা যোগ দিতে পারে নি। বেরিয়ে আসার পর শুনছি, যারা সভা থেকে ফিরছিল, থানার সামনে জড়ো হয়। শোনে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলা। এটা কখনও কাম্য় নয়। বলছি না, হামলা করে ঠিক করেছে। কিন্তু কেন হামলা, সেটা পুলিশের দেখা দরকার। কেন মারতে গেল, সেটা পুলিশের ভেবে দেখা দরকার। পুলিশের অদক্ষতা এর জন্য় দায়ী। পুলিশের দুর্বিনীত ব্য়বহারে সেখানকার মানুষ অতিষ্ঠ।
পুলিশের দাবি, কংগ্রেসের সভা থেকেই থানায় হামলায় প্ররোচনা দেওয়া হয়। তারপরই এই ঘটনা। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, হামলার জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী।
(Feed Source: abplive.com)