কলকাতা: বিশ্বকাপে ইডেনের ম্যাচ টিকিট নিয়ে জটিলতা। টিকিট ইস্যুতে বোর্ড-সিএবি দ্বন্দ্ব! বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির জন্য অনলাইনে আসতে না আসতেই ইতিমধ্যেই সব সোল্ড আউট হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই শুরু হয় টিকিটের হাহাকার। তবে দর্শকদের আফসোস দূর করতে আইসিসি তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় শুক্রবার রাতে ফের অনলাইনে টিকিট বিক্রি হবে।
সেই ঘোষণার মত, শুক্রবার রাত আটটা থেকে বিশ্বকাপের জন্য চার লক্ষ টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে সেই সময় দেখা যায় অন্য ৯টা ভেন্যুর টিকিট কাটা গেলেও, ইডেনের ম্যাচে টিকিট কাটা ঘিরেই জটিলতা রয়েছে। টিকিট কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আসল কারণ বিক্রির জন্য টিকিট ছাড়েইনি সিএবি। কিন্তু কেন? যে কোনও ভেন্যুরই কিছু সংখ্যক টিকিট আগে ভাগে অনলাইনে ছাড়তে বলেছিল বোর্ড। প্রত্যেক ম্যাচের ৩০% শতাংশ টিকিট অনলাইনে ছাড়তে বলে বোর্ড। অর্থাৎ ইডেনের প্রায় ৬৫ হাজার গ্যালারির জন্য ১৮ হাজার ৯০০ টিকিট অনলাইনে ছাড়ার কথা। কিন্তু আপত্তি তোলে সিএবি। সিএবির সঙ্গে এখানেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয় বোর্ডের।
বাংলার ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা চাইছেন নিয়ম অনুযায়ী কমপ্লিমেন্টারি টিকিট বিতরণ করার পরই বাকি টিকিট অনলাইনে ছাড়তে। কারণ যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্ষেত্রেই অনুমোদিত সংস্থা এবং সদস্যদের টিকিট বিনিময় করতে হয়। এটা সিএবির সংবিধান অনুযায়ী নিয়ম। যেখানে লাইফটাইম মেম্বার থেকে অ্যাসোসিয়েট মেম্বার প্রত্যেকেই টিকিট পান। সিএবি কর্তাদের দাবি, ৩০ শতাংশ টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়তে হলে সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক সদস্যদের টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে যে সংস্থা টিকিট বিক্রি করছে বিশ্বকাপের অনলাইনে তাদেরকে টিকিট ছাড়া হয়নি।
তবে পরিস্থিতি জটিল দেখেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন সিএবি কর্তারা। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে অনেকেই দাবি তোলেন, যদি ৩০ শতাংশ টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়তে হয় তাহলে ম্যাচ আয়োজন করে লাভ কী? কোন সদস্য যদি সংবিধান অনুযায়ী টিকিট না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সেক্ষেত্রে কী করবে সিএবি? সূত্রে খবর, বৈঠকে খুব একটা সমাধান না মেলায় শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি বিষয়টা দেখার আশ্বাস দেন। সূত্রের খবর, আপাতত কিছু টিকিট ছাড়ার জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন সৌরভ। তবে এখন দেখার কর্তারা শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন। তবে টিকিট নিয়ে জটিলতা শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত কাটেনি বলেই খবর।