জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কবি বলেছিলেন বটে, নামে কিবা আসে যায়, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নামে আসে যায়। কেননা, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব ‘ইন্ডিয়া-র বদলে এবার থেকে দেশের নাম লেখা হোক ভারত’ নিয়ে দেশ জুড়ে নানা বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনা। তবে এই আবহে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল, ভারতের তরফে যদি নাম বদলের কোনও প্রস্তাব আসে, তবে তারা সেটা বিবেচনা করে দেখবে।
জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে রাষ্ট্রপতিকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র বদলে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরে দেখা যায়, এর আগে ব্রিকস সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘প্রাইম মিনিস্টার অব ইন্ডিয়া’র বদলে ‘প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ায় চলা আসিয়ান সামিটেও ‘ভারত’ শব্দটিই ব্যবহার করা হয়েছে।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর পরেই জল্পনা শুরু হয়, কেন্দ্র কি তাহলে দেশের নাম বদলে দিতে চাইছে? তখন থেকেই সব মহলেই একটা অনুমান ছিল যে, অদূর ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ শব্দটিই দেশের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ, সদ্যগঠিত অ-বিজেপি রাজনৈতিক জোট ‘ইন্ডিয়া’কে ভয় পেয়েছে কেন্দ্র। তাই তারা তড়িঘড়ি দেশের নাম বদল করে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটির প্রাসঙ্গিকতাটিকেই নষ্ট করে দিতে চাইছে।
তবে দেশের ভিতরে ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ বিতর্কে যা-ই হোক, বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুয়েতেরেস, রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, কোনও দেশের তরফে যদি নাম বদলের প্রস্তাব পাঠানো হয়, তবে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। কিছুদিন আগে তুরস্কের নামের বানান বদলও করা হয়েছে। এবং রাষ্ট্রসংঘ তা অনুমোদন করেছিল বলে ওই বিবৃতিতে জানায়।
(Feed Source: zeenews.com)