দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
সম্প্রতি যে অপটিক্যাল ইলিউশন নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের মাতিয়ে রেখেছে, তা একান্তই নিজের দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্ণতা পরখ করে নেওয়ার। সত্যি বলতে কী, ছবিটা একে সাদা-কালো, তায় আবার স্কেচ, তার উপরে এত কিছুর ভিড় সাজানো রয়েছে যে তার জাল ভেদ করা কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কেন না, এখানে দেখা যাচ্ছে এক গাছের ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে অজস্র কাঠবিড়ালি। তবে তারা খুব একটা মনের সুখে নেই। তারা রয়েছে আতঙ্কে। হানা দিয়েছে এক কুমির, তাকেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, তাও আবার মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যে, এদিকে সেটা কোথায় লুকিয়ে আছে তা ধরা বেশ মুশকিলের।
ছবি দেখে বিরক্ত লাগলে চলবে না, এগোতে হবে ধৈর্য ধরে। না পাওয়া গেলেও অসুবিধা নেই, আমরাই জানিয়ে দিচ্ছি কোথায় আছে সেই কুমির।
চোখ রাখতে হবে ছবির ডান দিকের এক গাছের ডালে, সেখানে দুই কাঠবিড়ালিকে লক্ষ্য করতে হবে ভাল করে, একজন কোনও মতে গাছে উঠতে পেরেছে, আরেকজন ঝুলছে প্রাণভয়ে ডাল ধরে, তাদের ঠিক নিচেই আছে কুমিরটা, খুঁটিয়ে দেখলেই ধরে ফেলা যাবে তাকে, তা, যাঁদের দৃষ্টি খুব তীক্ষ্ণ, তাঁদের খোঁজও কি এই জায়গা ধরেই চলছিল?