অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য় সরকার এবং রাজ্য়পালের মধ্য়ে সংঘাতের পারদ লাগাতার চড়ছে। বৃহস্পতিবার কড়া ভাষায় রাজ্য় সরকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। শুক্রবার তার জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশে মহম্মদ বিন তুঘলক, ফাঁসুড়ের মতো শব্দ ব্যবহার করেন ব্রাত্য। তাঁর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা।
শনিবার সকাল গড়াতেই একবার ফের সুর চড়ালেন রাজ্যপাল বোস। মধ্যরাতের মধ্যে গুরুতর কিছু ঘটতে চলেছে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন রাজ্যপাল বলেন, “যা করেছি, ঠিক করেছি। তা নিয়ে গর্ববোধ করছি আমি। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।”
“See till midnight, see the action”
BEWARE! BEWARE! BEWARE!
New Vampire in the town! Citizens please watch yourselves. Eagerly waiting for the “Rakkhas Prahar”, according to Indian Mythology! 😱 😳— Bratya Basu (@basu_bratya) September 9, 2023
তবে রাজ্যপালকে জবাব দিতে দেরি করেননি ব্রাত্যও। রাজ্যপাল চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরই ট্যুইটারে (অধুনা X) মুখ খোলেন ব্রাত্য। কটাক্ষ করে বলেন, ” ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, কী ঘটে দেখুন’। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার উপস্থিত হয়েছেন। সাবধান হয়ে যান শহরবাসী। ‘রাক্ষস প্রহরে’র জন্য উদগ্রীহ হয়ে অপেক্ষা করছি, যার উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনিতে’।
শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য রাজ্যের সরকারি সাহায্য়প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু মাত্র ১২ জন সেই বৈঠকে উপস্থিত হন। তাতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে যে, আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের নির্দেশ মেনেই রেজিস্ট্রারদের পাঠাননি উপাচার্য। সেই নিয়েই শনিবার রাজ্যপাল জানান, যা করেছেন একেবারে ঠিক করেছেন। পাল্টা মধ্যরাতে কিছু হতে পারে বলে উত্তেজনাও জিইয়ে রেখেছেন। তাতেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন ব্রাত্য। আর তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এমন বেনজির পর্যায়ে পৌঁছয়নি আগে কখনও।
(Feed Source: abplive.com)