পাকিস্তান অধিকৃত গিলগিট-বালতিস্তানের মানুষ এখন পাকিস্তানি শাসনে বিরক্ত। গিলগিট-বালতিস্তানের মানুষের জীবন নরকে পরিণত করেছে পাকিস্তান। তাদের নেই কর্মসংস্থান বা খাদ্য সামগ্রী। যাই হোক, পাকিস্তানের অবস্থাই খারাপ। সেখানে আটা, ডাল, চাল, রুটির স্তূপ পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে গিলগিট ও বাল্টিস্তানের মানুষ ভিক্ষুক পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চায় না। এজন্য তারা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। গিলগিট বাল্টিস্তানের মানুষ এখন পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি দিনরাত সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পাকিস্তানে মুর্দাবাদ স্লোগান দিয়ে ভবনে ভারতের তেরঙা পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। গিলগিট-বালতিস্তানের মানুষ তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্তির দাবি করছে।

গিলগিট-বালতিস্তানের জনগণও চীনা সাইটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের জমি চীনকে হস্তান্তর করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে গালাগালি করে। পাকিস্তান পুলিশের উপস্থিতিতে জনগণ মিছিল বের করে এবং পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান দেশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। আসলে, পাকিস্তান গিলগিট এবং বাল্টিস্তান অঞ্চলে প্রচুর জমি চীনকে দিয়েছে খনির জন্য। এ কারণে সেখানকার মানুষ কৃষিকাজও করতে পারছে না। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কৃষকের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গিলগিট-বালতিস্তানের মানুষের জীবন এখন নরকে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি চাইনিজদের সাইট থেকে তাড়িয়ে দিতে চান। তারাও পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্তি চায়। তারা দাবি করছে তাদের অঞ্চল ভারতের অন্তর্ভুক্ত হোক।

পিওকে-র মানুষও পাকিস্তানের ওপর ক্ষুব্ধ

গিলগিট-বালতিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) জনগণও খুশি নয়। পিওকে-র জনগণও বেশ কয়েকদিন ধরে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তারা পাকিস্তান মুর্দাবাদ ও হিন্দুস্তান জিন্দাবাদের স্লোগানও দিচ্ছে। PoK-এর জনগণ আরও বলে যে পাকিস্তান সরকার তাদের জীবনকে নরকের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সেখানে খাবার, বাসস্থান, বিদ্যুৎ ও পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে ভারত কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়ন করছে। পিওকে-এর জনগণ বলে যে পাকিস্তান সরকারের উচিত ইসলামের নামে তাদের বিভ্রান্ত করা বন্ধ করা। তিনি ভারতে হিন্দুদের সাথেই থাকবেন। তারা বলে ভারতে আমরা হিন্দু-মুসলিম এবং শিখ খ্রিস্টান…সবাই ভাই ভাইয়ের মতো বাস করি।