বসুধৈব কুটুম্বকম। সমগ্র মানবজাতিকে একটি পরিবার হিসাবে বোঝাতে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখে বার বার শোনা যায় এই কথা। আর, G 20-র প্রথম পর্যায়ে আলোচনার বিষয়ও ছিল, এই ‘ওয়ান আর্থ’। প্রথমবার এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজক ভারত। G 20-র দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতাদের পাশাপাশি, আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধিরাও যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখে ‘সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস’।
একজোট হয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অঙ্গীকার। সামগ্রিক উন্নয়নের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে মানবতাকে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা-সহ বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের G 20-র সম্মেলনে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। এর পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা-সহ কয়েকজনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও সারেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই, ভারতের উদ্যোগে G 20-র স্থায়ী সদস্যপদ পেল আফ্রিকান ইউনিয়ন (African Union)। এদিন, মঞ্চ থেকে এই কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে নরেন্দ্র মোদির মুখে উঠে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা কোভিডকে পরাজিত করতে পেরেছি তখন আমরা এই আস্থার ঘাটতির সঙ্কটের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে পারব। সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই আস্থাহীনতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।’
এদিন, হাতে-হাত দিয়ে ছবি তুললেন নরেন্দ্র মোদি, জো বাইডেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট। একসঙ্গে সেলফি তোলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতা নিজেদের মন্তব্যও পেশ করেন। সিলমোহর পড়ে দিল্লি ডিক্লারেশনে। সবমিলিয়ে বিশ্বের নজর ভারতে। সৌজন্যে জি ২০ সম্মেলন।
(Feed Source: abplive.com)