নয়াদিল্লিঃ জি-২০ সম্মেলন ঘিরে আঁটোসাঁটো দিল্লির নিরাপত্তা। স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, আদালতে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে দিল্লি প্রশাসন। দেশ-বিদেশের অতিথিদের আপ্যায়ন, নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য অতন্দ্রপ্রহরী দিল্লি পুলিশ। এমতাবস্থায় শুক্রবার রাতে একটি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে। ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিল্লির ভালস্বা ডায়েরি এলাকা থেকে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২১ বছর বয়সী এক যুবককে রাতেই ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত ওই যুবক শুক্রবার রাতে দিল্লি পুলিশের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে ডিসিপিকে ট্যাগ করে পোস্ট করে, বন্দুক এবং বিস্ফোরক ভর্তি একটি অটো প্রগতি ময়দানের দিকে যাচ্ছে, যেখানে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসবে। এমনকি সেই অটোর একটি ছবিও জুড়ে দেয় পোস্টের সঙ্গে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছুক্ষণেই বোঝা যায় গোটা বিষয়টি ভুয়ো। এরপরেই দিল্লি পুলিশের দল ভালস্বা ডায়েরি এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
দিল্লি পুলিশের এক কমিশনার জানিয়েছেন, রাতে পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিতে পাওয়া অটোর নম্বর প্লেট খতিয়ে দেখা হয়। সেখান থেকে জানা যায় সেটি এসএসএন পার্কের বাসিন্দা গুরমিত সিং (৫০) নামে এক ব্যক্তির। পুলিশ হানা দেয় গুরমিতের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাড়িতে রয়েছেন হরচরণ সিং (৪৮)। তিনি জানান, অটোটি তাঁর ভাইয়ের নামে নথিভুক্ত। অটোতে করে তাঁরা জামাকাপড় তৈরির মেটেরিয়াল চাঁদনি চক এলাকায় পৌঁছে দেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই উঠে আসে মূল অভিযুক্তের বিষয়ে। পরিবারের তরফে জানানো হয়, তাঁদের সঙ্গে অটোর পার্কিং নিয়ে ঝামেলা হয় কুলদীপ শাহ নামে এলাকার এক যুবকের।
এ দিকে, তদন্ত শেষে সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে এবং অটো খতিয়ে দেখে করে কোনও সন্দেহজনক জিনিস মেলেনি। এরপর পুলিশ হানা দেয় কুলদীপের বাড়িতে। সেই সময় সে বাড়িতেই ছিল। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কুলদীপ জানায়, বাড়ির সামনে অটো রাখা নিয়ে সিংদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। কুলদীপের দাবি, এই প্রথমবার নয়, আগেও একাধিকবার অটো রাখা নিয়ে তার সঙ্গে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তারা একই কাজ বারেবারে করত। রাগের বশেই এই কাজ করেছে সে। এরপর রাতেই কুলদীপকে গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে।