ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে সোজা ইউরোপ পর্যন্ত করিডর, জি ২০-র মঞ্চে ঐতিহাসিক চুক্তি

ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে সোজা ইউরোপ পর্যন্ত করিডর, জি ২০-র মঞ্চে ঐতিহাসিক চুক্তি
নয়াদিল্লি : জি ২০-র (G 20 Summit) মঞ্চে ঐতিহাসিক চুক্তি ভারতের। ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে সরাসরি ইউরোপ পর্যন্ত ইকনমিক করিডর হওয়ার বিষয়ে মউ সাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে অদূর ভবিষ্যতে চালু হতে চলেছে রেল ও জাহাজ করিডর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর সাক্ষরিত হয়েছে মউটি।

‘এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে’, আশাপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ এশিয়া প্রদেশে চিনের অর্থনৈতিক দাদাগিরি রুখতে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ভারতের ইকনমিক করিডরের যোগাযোগ আগামী দিনে বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির মানচিত্রে মোড় ঘোরানো এক বিষয় হতে চলেছে বলেই মনে করছেন সকলে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে যে করিডরের মউ সাক্ষরের বিষয়টি জানানো হয়েছে। জো বাইডেন (Jo Biden) এই ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ করিডরকে (India-Middle East-Europe Economic Corridor ) অভিহিত করেছেন ‘রিয়ল ডিল’ হিসেবেই।

এদিকে, জি ২০-র মঞ্চে আরও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতের। গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। ভারতের পাশে দাঁড়াল ১৯ টি দেশ। পাশাপাশি এদিনই আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি ২০-র অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সবার নজর দিল্লিতে। বিশ্ব দেখছে ভারতের শক্তি। প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে চলছে G-20 সম্মেলন। হাজির বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। প্রথমার্ধ্বে ‘ওয়ান আর্থ’ এবং দ্বিতীয়ার্ধ্বে ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছেন নরেন্দ্র মোদি। G-20 সম্মেলন থেকে বিভেদ মেটানোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির সম্মেলন থেকেই G-20 হল G-21। G-20-এর সদস্য হল আফ্রিকার ৫৫টি দেশ নিয়ে গঠিত আফ্রিকান ইউনিয়ন। G-20 সম্মেলনের মাঝে ১৫ জনের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। যার মাঝেই সই হয়েছে ঐতিহাসিক করিডর তৈরির মউ।

এদিকে, সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়েছে নয়াদিল্লির G-20 ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্রে ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও বেশ কিছু লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। এই কাজে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ৩৭ পাতার এই ঘোষণাপত্রে।

(Feed Source: abplive.com)