হাতের মুঠোয় ইউরোপ! স্বপ্নের রেল-বন্দর করিডরের সূচনা ভারতের, US বলল ‘বড় বিষয়’

হাতের মুঠোয় ইউরোপ! স্বপ্নের রেল-বন্দর করিডরের সূচনা ভারতের, US বলল ‘বড় বিষয়’

স্বপ্নের ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জো বাইডেনরা। জি২০ সম্মেলনের মধ্যেই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষনেতাদের উপস্থিতিতে সেই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। যে রেল-বন্দর করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে সহজেই ইউরোপে পৌঁছে যাবে পণ্য। সেই করিডরের ফলে ভারত তো বটেই, সার্বিকভাবে এশিয়ার একাংশের অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পুরোদমে ওই করিডর সচল হয়ে গেলে প্রচুর বিনিয়োগ আসবে। ৭২ ঘণ্টায় মধ্যে ভারত থেকে ইউরোপে পণ্য পৌঁছে যাবে। তৈরি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘এটা বিশাল ব্যাপার। এটা বিশাল বড় ব্যাপার।’

বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডর নিয়ে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন আল সউদের পূর্ণ সহযোগিতায় ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। যে করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ফুজাইরা বন্দর পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ করা হবে। তারপর সৌদি আরব এবং জর্ডনের ২,৬৫০ কিলোমিটার রেল ও রাস্তার মাধ্যমে ইজরায়েলের হাইফা বন্দরে পৌঁছাবে। ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে ১,৮৫০ কিমির রেল ও রাস্তা আছে। বাকি অংশ তৈরির পরিকল্পনা করছে সৌদি। সেই হাইফা বন্দর থেকে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ-সহ উপমহাদেশের বিভিন্ন পণ্য ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো ইউরোপের দেশে পাঠানো যাবে।

কয়েকটি পর্যায়ে মধ্য-প্রাচ্য করিডরের কাজ সম্পূর্ণ হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে তৈরি করা হবে রেল ইঞ্জিন। যা সৌরশক্তিতে চলবে। বিষয়টি নিয়ে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘ভবিষ্যতে মায়ানমার এবং বাংলাদেশের মাধ্যমে ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য করিডর একটি রেল সেতু হয়ে উঠবে। ওই করিডরের ফলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় পণ্য ইউরোপের বাজারে পৌঁছে যাবে। সাধারণত যেরকম আকৃতির কন্টেনার হয়, সেরকম আকৃতির কন্টেনারের মাধ্যমে পণ্য রফতানি করা হয়। যা ফুজাইরা এবং হাইফা বন্দরে পাঠানো হবে। ইজরায়েলে অবস্থিত হাইফা বন্দর আপাতত পরিচালনা করছে ভারতীয় সংস্থা।’

বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডরের দুটি পৃথক অংশ থাকবে। পূর্ব করিডরের মাধ্যমে যুক্ত হবে ভারত এবং আরর। আর উত্তর করিডরের মাধ্যম সংযুক্ত হবে আরব এবং ইউরোপ। সেই করিডরে রেলপথও থাকবে। সেই রেলপথের কাজ শেষ হলে জলপথ এবং স্থলপথের মাধ্যমে যাতায়াতের যে ব্যবস্থা আছে, সেটা আরও উন্নত হবে। ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, জর্ডন, ইজরায়েল এবং ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহণ আরও সহজ হবে। রেলওয়ে রুটের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং ডিজিটাল সংযোগের মধ্যে তার পাতা হবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)