এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। রবিবার ২৪.১ ওভার শেষে বৃষ্টির জন্য রিজার্ভ ডে-তে খেলা গড়ায়। এদিন শুরু থেকেই রাহুল ও বিরাটকে দারুণ ছন্দে দেখায়। হ্যারিস রউফের হালকা চোট থাকায় তাঁকে এই ম্যাচে আর বোলিং না করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান, যা ভারতের জন্য বেশ লাভদায়কই হয়।
বিরাট কোহলির ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৪ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং কেএল রাহুল ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৬ বলে ১১১ রান করে নট আউট থাকেন। দুই ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত তোলে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫৬ রান।
বড় রান তাড়া করতে নেমেও এদিন কিন্তু প্রথম থেকেই খানিকটা রক্ষণাত্মক ক্রিকেটই খেলতে দেখা যায় বাবর আজমদের। স্কোরবোর্ডে যখন ১৭ রান, সেই সময় বুমরার বলে ক্যাচ আউট হন ইমাম উল হক। এরপর ১০.৪ ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যর বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর আজম।
এরপর ফের বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয় ম্যাচ। এরপর খেলা শুরু হতেই পর পর উইকেট খোয়াতে শুরু করে পাক শিবির। শুরুটা ফাস্ট বোলারর করলেও, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদবদের (Kuldeep Yadav) স্পিন খেলতে বেশ বেগ পেতে দেখা যায় পাক ব্যাটারদের। ইফতিকার আমেদ কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাঁকে ফেরান কুলদীপ। ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এদিনে বল হাতে ভারতের নায়ক কিন্তু কুলদীপ যাদবই। তবে নিজের অনবদ্য শতরানের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে বিরাট কোহলি। বাবর আজমরা কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ভারতীয় বোলারদের সামনে।
(Feed Source: abplive.com)