বিজয় কুমার, নয়ডা: কথায় আছে না, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়! সেই কথাই আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন নয়ডার গৃহবধূ অঞ্জু গিরি। বর্তমানে যিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। আজ সেই গৃহিণীর এক সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
নয়ডার সেক্টর ৭১-এ থাকেন অঞ্জু। বরাবরই রান্নাবান্না করতে ভালবাসেন। আর সেই শখকেই ব্যবসায় রূপান্তরিত করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। এটা বছর তিনেক আগের ঘটনা। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে টিফিন পরিষেবা শুরু করেছিলেন ওই গৃহবধূ। তা-ও নিজের বাড়িতেই সবটা রান্না করে সেই খাবার পৌঁছে দিতেন বিভিন্ন সংস্থায়। তাঁর রান্না করা খাবার ধীরে ধীরে মানুষ পছন্দ করতে শুরু করে। আর চাহিদাও বাড়তে থাকে। এর ফলে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায় তাঁর ব্যবসাও। এর পর খাবারের একটি দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
নয়ডারই সেক্টর ৬২-র আইথাম টাওয়ারের কাছে একটি দোকান খুলেছেন অঞ্জু। নাম ‘গৃহিণী কিচেন’। যেখানে ব্যুফে সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে মাত্র ৯৯ টাকায় আনলিমিটেড খাবার খেতে পারেন গ্রাহকরা। ফলে অঞ্জুর দোকানে নিত্যদিন ভিড় বেড়েই চলেছে।
শুধু তা-ই নয়, অন্য মহিলাদের কর্ম সংস্থানও করেছেন ওই গৃহবধূ। দোকানে কাজের জন্য ৬ জন মহিলাকে রেখেছেন তিনি। যাঁরা তাঁকে ব্যবসায় নানা ভাবে সাহায্য করেন। এমনকী রান্নাও করেন ওই মহিলা কর্মীরা। অঞ্জু জানান, তিনি আসলে এমন খাবারের স্বাদ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে চান, যা তাঁদের বাড়ির কথা মনে করিয়ে দেবে। এর পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়ার কথাও জানালেন তিনি।
অঞ্জুর কথায়, রান্নায় ব্যবহৃত বেশির ভাগ মশলাই হাতে পেষাই করা। যা তিনি নিজেই বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এর পাশাপাশি খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করার সময় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কেও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, যাতে সেখানে আসা প্রতিটি গ্রাহক একটি ভাল পরিবেশ পেতে পারেন। গৃহিণী কিচেন-এর ব্যুফে-তে বিভিন্ন ধরনের তরকারি, ডাল এবং অন্যান্য নানা সুস্বাদু খাবার থাকে। আর একঘেয়েমি কাটানোর জন্য এখানকার মেন্যু প্রতিদিন পরিবর্তন করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, অনলাইনেও গৃহিণী কিচেন-এর খাবার পাওয়া যায়। এই আউটলেটে যাঁরা প্রতিদিন খেতে আসেন, তাঁদের বক্তব্য, “এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেগুলি খুবই ভাল আর দামও বেশ কম। মাত্র ৯৯ টাকায় আনলিমিটেড যে খাবার মেলে, তার স্বাদ একেবারে বাড়ির মতো!”