ঝালদা থেকে রানিননগর, এমনকি নদিয়ার শান্তিপুর, একাধিক জায়গায়, বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষাপটে এবার সেই পুলিশকেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিজেপির মুখপাত্র (BJP Leader) অরূপ দাস। রবিবার বিকেলে খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের গোকুলপুরে বিজেপির সভা চলছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই পুলিশকে আক্রমণ করেন বিজেপির জেলা মুখপাত্র।
মঞ্চ থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাসের আক্রমণ, ‘এই পুলিশ আজকে তৃণমূলের, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুতো চাটতে চাটতে জিভ মোটা করে ফেলেছে। যেদিন মার পড়বে, তৃণমূল কী, পুলিশ কী, কেউ রেহাই পাবে না। উর্দি খুলে দৌড় জানেন তো! উর্দি খুলিয়ে দৌড় করাব এই কলাইকুন্ডায়, এই গোকুলপুর স্টেশন এলাকায়।’ পাল্টা পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেছেন, ‘আগে দিলীপ ঘোষ নিজে এসব বলত। মানুষ খাচ্ছে না দেখে, এখন লোক দিয়ে আজেবাজে কথা বলাচ্ছে। আমরা ওদের মতো মারব না। রাজনৈতিকভাবে মারব।’
অতীতে একাধিকবার মঞ্চে বক্তৃতা করতে গিয়ে পুলিশকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ! এবার তাঁকে সামনে বসিয়ে, পুলিশকে কড়া আক্রমণ করতে দেখা গেল তাঁর দলেরই জেলা মুখপাত্রকে ! তবে শুধু বিজেপিই নয়, আগে শাসকদলের নেতাদের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছে পুলিশকে। ভোট-হিংসার জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। ‘অযোগ্য পুলিশ আর মজা দেখা পুলিশের জন্যই এই ঘটনাগুলি ঘটেছে। পুলিশের একটা অংশ অযোগ্য, আরেকটি অংশ মজা দেখছে। যারা মজা দেখছে, তারা সরকারকে হেয় করতে চায়। তারা আমাদের সরকারের বিরোধী শক্তি। মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়।
(Feed Source: abplive.com)