সন্তানের পুষ্টির দিকে নজর থাকুক! না হলেই হাজার রোগ, কী করবেন, বিশেষজ্ঞের টিপস

সন্তানের পুষ্টির দিকে নজর থাকুক! না হলেই হাজার রোগ, কী করবেন, বিশেষজ্ঞের টিপস

শিশুর জন্মকালের প্রথম ১০০০ দিন তার পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর রাখা জরুরি। অর্থাৎ সন্তানধারণের সময় থেকে সন্তানের ২ বছর হওয়া পর্যন্ত পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটাই শিশুর জীবনের বিকাশের মূল ভিত্তিপ্রস্তর। এই সময়ে যদি সঠিক পুষ্টি না মেলে, তাহলে পরবর্তীকালে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। আর এর প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশুদের প্রথম ৬ মাস স্তন্যপান করানো আবশ্যক। এর পর থেকে কমপ্লিমেন্টারি খাবার দেওয়া যেতে পারে। তবে শিশুর ২ বছর হওয়া পর্যন্ত স্তন্যপান করিয়ে যাওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন বেঙ্গালুরু রিচমন্ড রোডের ফর্টিস হাসপাতালের নিওনেটোলজি এবং পেডিয়াট্রিক্সের কনসালট্যান্ট ডা. শালিনী চিকু।

খাবারের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে এই টিপসগুলি মেনে চলা উচিত:

১. শিশুদের কথা বলে বলে খাওয়াতে হবে। যাতে তারা বিষয়টা উপভোগ করতে পারে। অধিকাংশ শিশুদের নিওফোবিয়া থাকে। যার অর্থ হল, নতুন কিছু শিখতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে তারা। তাই আগে থেকেই তাদেরকে বিষয়টা বোঝাতে হবে। রেডিমেড দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়াতে হবে। আর খাওয়ার সময় হাতে মোবাইল কিংবা ট্যাব দেওয়া উচিত নয়।

২. নিজের হাতে খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিতে হবে। শিশুদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উঁচু একটি চেয়ারে তাদের বসিয়ে খাবার সামনে রেখে দেওয়া যেতে পারে। নিজের আঙুল দিয়ে খাবার খাওয়ার বিষয়টা বোঝাতে হবে। নরম ফল কিংবা সেদ্ধ করা সবজি তাদের সামনে পরিবেশন করা যেতে পারে। পরিবারের সকলে যখন একসঙ্গে বসে খাবার খান, তখন বাড়ির বাচ্চাকেও সেখানে বসাতে হবে। বাচ্চা একা হাতে খাওয়ার সময় চারিদিকে খাবার পড়ে নোংরা হয়ে যেতে পারে। সেটা পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

৩. সন্তান একটু বড় হয়ে গেলে খাবার তৈরির বিষয়টাও তাকে বোঝানো উচিত। ফল-সবজি কিনতে গেলে তাকেও সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এতে ফল-সবজির রঙ, স্বাদ, উৎস বুঝতে পারবে সে। এমনকী রান্না করার সময় রান্নাঘরে একটি নিরাপদ দূরত্বে তাকে বসিয়ে রাখতে হবে।

(Feed Source: news18.com)