‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর করা নিয়ে আট সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। এর আওতায় লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সব নির্বাচন একসঙ্গে, একই সময়ে সম্পূর্ণ করার দাবি রাখা হয়েছে। ওই নীতির সুফল এবং কুফল বিবেচনা করে দেখে, কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেবে আট সদস্যের ওই কমিটি।
রামনাথ কোবিন্দ ছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভায় প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গোলাম নবি আজাদ, অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিংহ, লোকসভা সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্য়প, বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে, ভিজিলান্স কমিশনের প্রাক্তন প্রধান সঞ্জয় কোঠারি, যাঁরা মোটামুটি ভাবে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
যত শীঘ্র সম্ভব ওই কমিশনকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করতে করতে বলা হয়েছে। তার জন্য সংবিধানে কী কী সংশোধন করতে হবে, জনপ্রতিনিধি আইনে কী কী রদবদল ঘটাতে হবে, এমনকি রাজ্যগুলির অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে কিনা, সে ব্যাপারে নিজেদের মতামত জানাবে ওই কমিটি। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের ফলাফলে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হলে, অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে এমনকি দলবদলের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, জানাতে হবে তা-ও। বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। আইন বিষয়ক সচিব নিতেন চন্দ্র ওই কমিটির সচিব।
ওই কমিটিতে অধীরের নামও রেখেছিল কেন্দ্র। কিন্তু শাহকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। অধীরের যুক্তি, কমিটির সকলের রাজনৈতিক অবস্থান সর্বজনবিদিত। আসলে আগে থেকেই সব ঠিক হয়ে রয়েছে, লোক দেখিয়ে শুধু কমিটি গড়া হয়েছে। শনিবার কংগ্রেস ওয়র্কিং কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি ওঠে। সংসদের পাঁচ দিনের যে বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে, সেখানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনের’ বিরোধিতা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বৈঠকে।
(Feed Source: abplive.com)