আর কী?
আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত যে পাঁচ দিনের বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়েছে, তার অন্যতম ‘অ্যাজেন্ডা’ ছিল এই মহিলা সংরক্ষণ বিল, খবর সূত্রে। পুরনো সংসদ ভবনে, গত ৭৫ বছরে কী কী কাজ হয়েছে, সে কথা লোকসভা ও রাজ্যসভায় আজ বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল, ১টার পর থেকে যখন নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন বসবে, তখন তাতে কী কী বিল আনা হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। তার আগের দিন, আজ সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সংসদ ভবন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানা যায়নি ঠিকই। তবে সূত্রের খবর, মহিলা সংরক্ষণ বিলে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর পর, এই বিশেষ অধিবেশনের মধ্যে এই বিলটি সংসদে নিয়ে আসতে পারে সরকার, এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে করাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মনমোহন সিংহের সরকার এই বিল রাজ্য়সভায় পাশ করাতে পারলেও লোকসভায় পাশ করাতে পারেনি। এদিনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মহিলা সংরক্ষণ বিলে সিলমোহরের যে খবর, শোনা যাচ্ছে তাতে একটি বিষয় অন্তত পরিষ্কার। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার অন্যতম কারণ ছিল এটি, বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। লক্ষণীয় ব্যাপার হল, এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা যায়, নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরুর লগ্নেই মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করানো গেলে এই যাত্রার শুভারম্ভ হবে।
জল্পনায় আর যা..
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সোমবারের বক্তৃতাতেই ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের’ ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। তার পর থেকেই মহিলা সংরক্ষণ বিলের পাশাপাশি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’, ‘দেশের নাম বদল’ ইত্যাদি মর্মেও বিল পাশের জল্পনা তৈরি হয়। এর মধ্যে প্রথমটিতে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, এমনই খবর সূত্রে। বাকিগুলোই কি তবে এই অধিবেশনেই পাশ হবে? উত্তর মিলবে আর কিছুদিনেই।
(Feed Source: abplive.com)