‘সোহাগ চাঁদ’ ধারাবাহিকের গল্পে এবার নতুন মোড়
অবশেষে হাজির হতে চলেছে সেই দিন। ‘সোহাগ চাঁদ’ ধারাবাহিকে দেখা যাবে ফ্যাশন শো। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রতিযোগীদের ‘ওয়েস্টার্ন’ পোশাকে দেখা যাবে। ধারাবাহিকে যে ফ্যাশন শো দেখানো হবে তা সাধারণ যেকোনও বিউটি কনটেস্টের থেকে একেবারে আলাদা, দৃষ্টান্ত বদলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফ্যাশন নিয়ে প্রচলিত সমস্ত ধ্যানধারণাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে সোহাগ।
পাশ্চাত্যের পোশাক অর্থাৎ ওয়েস্টার্ন ওয়্যার পরার রাউন্ডে প্রতিযোগীদের ঝলমলে দেখায় যদিও সবকিছুর ওপরে কমনীয়তা সর্বোচ্চ রাজত্ব করে। যদিও আসল পরীক্ষা অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। সোহাগের অপরিমেয় আত্মবিশ্বাস কি সমস্ত সামাজিক বেড়াজাল ভেঙে দিতে পারবে? সমাজের কাছে সৌন্দর্য্য, বয়সের গণ্ডি, গায়ের রং, উচ্চতা বা রোগা-মোটা হওয়া নিয়ে সংজ্ঞা রয়েছে তার বদল ঘটাতে পারবে সোহাগ?
তবে ধারাবাহিকে যে ফ্যাশন শো দেখানো হবে তা দুর্দান্ত, দুর্ধর্ষ, চোখ ধাঁধানো হতে চলেছে বলেই দাবি নির্মাতাদের। এই শোয়ের বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লোপামুদ্রা মিত্র, পায়েল সরকার, মধুরিমা বসাক। অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে সোহাগের সফরের গল্প যত প্রকাশ্যে আসবে ততই উত্তেজনার পারদ চড়বে। প্রতিযোগিতায় কি জয়ী হতে পারবে সোহাগ? ‘বডি শেমিং’ বা শারীরিক গঠন নিয়ে বিদ্রূপ করার যে রোগ মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে, তার অবসান ঘটাতে পারবে সোহাগ? সকলকে নিয়ে একসঙ্গে পথচলার নতুন যুগের সূচনা ঘটাতে সক্ষম হবে সে? এই সমস্ত উত্তরই মিলবে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা ৭টায়, কালার্স বাংলায়।
‘সোহাগ চাঁদ’ ধারাবাহিকের গল্প এক ঝলকে
সোহাগ একজন ‘প্লাস সাইজ’ আদ্যন্ত রোম্যান্টিক মহিলা। সে ব্যাঙ্ক কর্মচারী। তাঁর চেহারার জন্য প্রায় ৩৪ জন পাত্র তাঁকে বাতিল করেছে। কিন্তু তথাকথিত ‘নিখুঁত’ মহিলা হয়ে উঠতে একেবারেই রাজি নয় সে। বলা ভাল, সে বিশেষ ভাবিতও নয় সেই বিষয়ে। সে বিশ্বাস করে যে একদিন সে নিজের ‘প্রিন্স চার্মিং’কে খুঁজে পাবে যে তাঁকে তাঁর ভিতরের সৌন্দর্য্যের জন্য ভালবাসবে। অন্যদিকে চাঁদ ‘ফিটনেস ফ্রিক’। সে নিজের একটা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি খুলতে চায়। সে নিজের জন্য এমন একজন পাত্রী খুঁজছে যে সুন্দরী ও নিখুঁত, ভারী ওজনের একেবারেই নয়। যদিও সোহাগ ও চাঁদ ছোটবেলার বন্ধু ও প্রতিবেশী। গল্পের ফেরে তাঁদের শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়। তারপর?
(Feed Source: abplive.com)