বাইকে যাওয়ার সময় গুলিবৃষ্টি, উত্তর দিনাজপুরের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু

বাইকে যাওয়ার সময় গুলিবৃষ্টি, উত্তর দিনাজপুরের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) পাঞ্জিপাড়ায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু। শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে মৃত্যু তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ রাহির। বিহারের (Bihar) কিষাণগঞ্জের হাসপাতাল থেকে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় মহম্মদ রাহিকে। পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির ১ কিমির মধ্যেই গুলিবৃষ্টি !

পঞ্চায়েত অফিস (Panchayat Office) থেকে বাইকে যাওয়ার সময় মহম্মদ রাহি ও তাঁর সঙ্গীকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি। পরে আরও ২ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। দুটি বাইকে করে আসে ৪ দুষ্কৃতী। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের পেটে, বুকে, গলায় গুলি লাগে। শ্যুটআউটের পর বিহারের দিকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, দাবি স্থানীয় সূত্রের। কী কারণে হামলা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)।

তৃণমূল (TMC) সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়ে কলোনির মোড়ের কাছে আসেন পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ রাহি। আচমকা, রাস্তার উল্টো দিক থেকে ২টি মোটর বাইকে হেলমেট পরা ৪ দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য় করে ৩ রাউন্ড গুলি চালায়। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথমে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন প্রধান। তখন ফের আরও ২ টি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা।

দলীয় কর্মী-সমর্থকেরাই প্রথমে তাঁকে তড়িঘড়ি সীমানালাগোয়া, বিহারের কিষানগঞ্জের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে (Nursing Home in Siliguri)। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, পেটে, বুকে ও গলায় গুলি লাগে তৃণমূল নেতার।

পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ি থেকে মেরেকেটে ১ কিলোমিটার দূরত্বে এই ঘটনা ঘটনায়, এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP)। উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেছেন, শাসকদলের নেতারাই সুরক্ষিত নয়। যবে থেকে পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট হয়েছে, গোলা গুলি আরও বেড়ে গেছে। এসপি কী করছে ? পুলিশ কী করছে ? কত দূরে পঞ্চায়েত অফিস ? রানিং প্রধান গুলি খাচ্ছে। পুলিশ শুধু আছে বিনা কারণে হ্য়ারাস করার জন্য়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ (Goalpokhor Police Station)। কারা হামলা চালাল ? কী কারণে হামলা ? ব্য়ক্তিগত শত্রুতা, নাকি নেপথ্য়ে অন্য় কোনও কারণ, সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

(Feed Source: abplive.com)