নিখোঁজদের সন্ধান দেবে গলার লকেট! কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ঘরে ফিরবেন ঘরছাড়ারা

নিখোঁজদের সন্ধান দেবে গলার লকেট! কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ঘরে ফিরবেন ঘরছাড়ারা

সন্ধ্যাবেলার চামেলি, সকালবেলার মল্লিকার পথভোলা এক পথিক, নবীন পান্থকে চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখানে ঠিক নবীন পান্থর কথা হচ্ছে না। বিষয়টাও বিখ্যাত গানের মতো রোম্যান্টিক নয়।

যে কোনও শহরেই, রোজ পুলিশের খাতায় কতশত ‘সন্ধান চাই’-এর রেজিস্ট্রেশন হয়, সে খোঁজ আমরা কেউই সঠিক জানি না। তবে, অনুমান করলে বুক কাঁপে বইকি। কে নেই এই হারিয়ে যাওয়ার দলে। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে বয়স্করা, বিশেষ করে স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা গ্রাস করেছে যাঁদের।

এই সমস্যার সমাধানে এবার পথ দেখাবে দেশের অন্যতম মেট্রো শহর মুম্বই, অক্ষয় রিদলানের হাত ধরে। ২৪ বছর বয়সি এই ডেটা ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে ফেলেছেন এমন এক লকেট, যাতে থাকবে কিউআর কোড। পথহারানো মানুষদের গলায় যদি সেই লকেট থাকে, তাহলে তা স্ক্যান করে জানা যাবে তাঁর নাম, যোগাযোগের নম্বর, বাড়ির ঠিকানা আর ব্লাড গ্রুপ। সদিচ্ছার পরবর্তী ধাপ তাঁদের ফিরিয়ে দেবে নিজের ঘরে।

খুব সাধারণ এক প্রযুক্তি, কিন্তু ভাবনা তুলনাহীন। “এ রকম একটা জিনিসের দরকার ছিল অনেক দিন ধরে, আর, এখন তো তা যেন প্রতি মুহূর্তের প্রয়োজন”, বলছেন অক্ষয় নিজেও। এই উদ্যোগের নাম তিনি দিয়েছেন প্রজেক্ট চেতনা।

অক্ষয়ের তৈরি এই লকেট কাজে আসবে হাজার হাজার মানুষের। বিশেষ করে সেই সব মানুষের, যাঁরা স্মৃতিভ্রংশের সমস্যায় ভুগছেন, অ্যালজাইমার্স, ডিমেনসিয়া, সিজোফ্রেনিয়ার রোগীদের, একই সঙ্গে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদেরও।

পিরামল গ্রুপের তরফে ডা. স্বাতী পিরামলও অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন অক্ষয়ের তৈরি এই লকেটের। বার্ধক্য কাউকে ছাড়ে না। ফলে, এরকম একটা গ্যাজেটের দরকার যে ছিল, বলছেন তিনি। জানাচ্ছেন, এই ধরনের মানুষদের পরিবারের সদস্যরাও এবার তাঁরা পথে বের হলে সামান্য হলেও স্বস্তি পাবেন।

একই সঙ্গে, ডা. পিরামল মনে করেন, যে সব শিশুরা একা একা স্কুলে যায়, তাদেরও কাজে আসবে অক্ষয়ের তৈরি এই লকেট।

(Feed Source: news18.com)