Vijay Anthony: ‘ওর সঙ্গে আমিও মরে গেছি’, মেয়েকে নিয়ে লেখা বিজয়ের পোস্টে চোখ ঝাপসা নেটপাড়ার…

Vijay Anthony: ‘ওর সঙ্গে আমিও মরে গেছি’, মেয়েকে নিয়ে লেখা বিজয়ের পোস্টে চোখ ঝাপসা নেটপাড়ার…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাত্র ১৬ বছর বয়সেই প্রয়াত অভিনেতা এবং সঙ্গীত পরিচালক বিজয় অ্যান্টনির(Vijay Antony) মেয়ে। মঙ্গলবার ভোর রাতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন বিজয়কন্যা মীরা। অভিনেতা নিজেই মেয়ের ঘর থেকেই উদ্ধার করেছেন মীরার ঝুলন্ত দেহ। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি স্কুলে ক্লাস টুয়েলভে পড়ত সে, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এবার মেয়েকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা লেখেন অভিনেতা, যা পড়ে চোখের জল বাঁধ মানল না নেটিজেনদের।

বিজয় লেখেন তাঁর মেয়ে পৃথিবীর থেকে একটা সুন্দর ও শান্তির জায়গায় পাড়ি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমার মেয়ে মীরা ভীষণ দয়ালু ও সাহসী মানুষ। ও এই পৃথিবীর থেকে ভালো ও শান্তিপূর্ণ জায়গায় গেছে যেখানে জাতিভেদ, ধর্মভেদ, অর্থভেদ, হিংসা, দুঃখ, কষ্ট, দারিদ্র, ঘৃণা নেই। ও আমাকে বলছিল। আমিও ওর সঙ্গে মরে গেছি। এখন আমি ওর সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছি। আমি ওর নামে যে যে ভালো কাজ করেছি, ও এখন নিজেই সেই ভালো কাজগুলো শুরু করেছে’। বিজয়ের এই নোট পড়ে চোখের জল আটকাতে পারেননি নেটিজেনরা। অভিনেতার প্রতিটা শব্দে ভেসে উঠেছে তাঁর মানসিক অবস্থা।

প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে যে দীর্ঘদিন স্ট্রেসে ভুগছিলেন বিজয়কন্যা মীরা। এমনকী তাঁর চিকিৎসাও চলছিল বলে খবর। মঙ্গলবার রাতে নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হন বছর ১৬-র মীরা। অভিনেতার চেন্নাইয়ের টেনাম্পেটের বাড়িতে মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ আত্মহত্যা করেছেন বিজয়ের জেষ্ঠ্য কন্যা। মঙ্গলবার সকালে অভিনেতা নিজেই মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখতে পান তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। বাড়ির পরিচারকরা তাঁর দেহ নামিয়ে আনেন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া চেন্নাইয়ের মায়লাপুরের একটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দুই কন্যা মীরা, লারা ও স্ত্রী ফতিমাকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল বিজয়ের। জানা যায় যে স্কুলে জনপ্রিয় ছিলেন মীরা। গত মার্চেই স্কুল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কালচারাল সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। সেই সুখবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন গর্বিত বিজয়ের স্ত্রী ফতিমা। মেয়ের সেই সাফল্যের কথা ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন মা ফতিমা অ্যান্টনি। তাহলে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

(Feed Source: zeenews.com)