মাত্র ৭৫০ টাকায় লঞ্চ ও বাসে পুজো পরিক্রমা, পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার

মাত্র ৭৫০ টাকায় লঞ্চ ও বাসে পুজো পরিক্রমা, পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার

পুজোর আর বেশি দেরি নেই। হাতে আর এক মাস। তারপরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো পরিক্রমার জন্য ইতিমধ্যেই বাস এবং ট্রামে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে পরিবহণ  দফতর। আর এবার স্থলপথের পাশাপাশি জলপথেও পুজো পরিক্রমা করা যাবে। আসলে জলপথ ও স্থলোপথের কম্বিনেশনে এবার পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এর সাহায্যে উত্তর কলকাতার বড় বড় পুজো দেখা সম্ভব। এর জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। জলপথে পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

পরিবহণ দফতরের ঘোষণা করা এই প্যাকেজে দেখা যাবে আহিরীটোলা সংলগ্ন পুজোগুলি। এছাড়াও শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো, কুমোরটুলি পার্ক ও সর্বজনীন, জগৎ মুখার্জী পার্কের পুজো দেখা যাবে। তাছাড়া, বলরাম মন্দির ও শ্রী শ্রী মায়ের বাড়ির পুজো, বাগবাজার সর্বজনীন পুজো দেখা যাবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে লঞ্চ ছাড়বে। তারপর লঞ্চটি হাওড়া জেটি ঘাট ঘুরে পৌঁছাবে আহিরীটোলায়। সকাল ১১ টা নাগাদ থাকবে ছাড়বে এই লঞ্চ। এরপর বাসে চড়ে পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা থাকবে। সেক্ষেত্রে এসি বাস থাকবে। পুজো পরিক্রমা শেষ হলে আবার দর্শনার্থীদের লঞ্চে তুলে দেওয়া হবে। সেটি পুনরায় হাওড়া জেটি ঘুরে মিলেনিয়াম পার্কে পৌছবে। মোট ৫ ঘণ্টার যাত্রা থাকছে। এর জন্য খরচ হবে মাথাপিছু ৭৫০ টাকা করে। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এইলম প্যাকেজ বুকিং করতে গেলে অনলাইনে করা যাবে। এর জন্য  www.wbtconline.in ওয়েবসাইটে গিয়ে বুকিং করা যাবে। এছাড়া নির্দিষ্ট বাস ডিপো থেকেও এই প্যাকেজ বুকিং করা যাবে। ৫ ঘণ্টার এই যাত্রায় যাত্রীদের জন্য খাবার ব্যবস্থাও থাকছে।

এর আগে বাস ও ট্রামে পুজো পরিক্রমার আয়োজন করা হলেও লঞ্চে পুজো পরিক্রমার আয়োজন এই প্রথম বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানান, এর সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুজো দেখা সম্ভব। উল্লেখ্য, পুজোর সময় সারারাত দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে পুজোর কয়েকটা দিন সারারাত ধরে বাস চলবে। শিয়ালদা, হাওড়া, ধর্মতলা  থেকে বিভিন্ন জায়গার বাস চালানো হবে।