তদন্ত কমিটির রিপোর্ট “অসম্পূর্ণ”, বিস্ফোরক দাবি যাদবপুরের উপাচার্যের

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট “অসম্পূর্ণ”, বিস্ফোরক দাবি যাদবপুরের উপাচার্যের

কলকাতা: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার দেড় মাস পর চাঞ্চল্যকর দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে-ই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তার প্রায় ১৫ দিন বাদে এই তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে “অসম্পূর্ণ” বলে দাবি করলেন খোদ উপাচার্য। নিউজ ১৮ বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি এদিন বলেন “তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এমন অনেকে আছেন যাদের দোষ নেই। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের দোষ আছে কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তাদের উল্লেখ নেই।” উপাচার্যের এই বক্তব্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কবে শাস্তি দেওয়া হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এদিনের এই মন্তব্য কার্যত নতুন করে ফের তদন্ত করার জল্পনা বাড়িয়েছে। যদিও নতুন করে ফের এই ঘটনা তদন্ত করে হবে নাকি সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন “গোটা বিষয়টি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সামনে রাখা হবে। অ্যান্টি রাগিং স্কোয়াডকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনা করে তাদের মতামত দিতে বলা হয়েছে। তারপর তারাই যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন।” আগামী মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক আছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন “জুটা” তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে পেশ করার দাবী জানিয়েছে।

ছাত্রদের একাংশ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি বসানোর আগে অল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকের দাবি উঠেছে। সেই মোতাবেক আগামী মঙ্গলবার সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার আগেই উপাচার্যের এই বিস্ফোরক দাবি কার্যত চাঞ্চল্য ফেলেছে। যদিও উপাচার্যের এই দাবি নিয়ে তদন্ত কমিটির কোনও সদস্যের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফলতো এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যদি পেশ করা হয় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে তাহলেও সেই রিপোর্ট কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা নিয়েও এদিনের পর প্রশ্ন উঠছে।

অন্য দিকে এদিন উপাচার্য দাবি করেন উপাচার্যের পদ থেকে তাঁকে সরানোর জন্য চক্রান্ত চলছে। কয়েকজন শিক্ষক ও কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে যুক্ত বলেও নিউজ এইট্টিন বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান। যা নিয়েও রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যাদবপুরের অন্দরে। অন্য দিকে এদিন থেকেই শুরু হলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি বসানোর কাজ।

(Feed Source: news18.com)