কলকাতা: ‘এরপর কি কোনও মহিলা বিপদে পড়ে পুলিশের কাছে যাবে?’ আক্ষেপ এক নির্যাতিতা মহিলার।অভিযুক্তকে শ্লীলতাহানির দায়ে গ্রেফতার করার পরও, থানা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে ছেড়ে দিয়েছে অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটে বেহালা চৌরাস্তার সরশুনা কলেজ অটো লাইনে। প্রতিদিনের মত মহিলা বুধবার দিনও রাত ৮টায় বাস থেকে নেমে অটো ধরার জন্য লাইনে দাঁড়ান। সেই সময় এক মদ্যপ এসে জোর করে অটো লাইনে ঢুকতে যায়।
এরপরেই বচসা শুরু হয়। গণ্ডগোল চূড়ান্ত অবস্থায় গেলে,ওই মদ্যপ ব্যক্তি তাঁকে ধাক্কা মারে, কুৎসিত ভাষায় গালাগালি থেকে আরম্ভ করে, তাঁকে অটোস্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা দেখেই ছেলেটিকে নিয়ে ট্রাফিক গার্ডের মধ্যেই বসিয়ে রাখে। নির্যাতিতা জানান, ট্রাফিক গার্ড থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বেহালা থানাকে জানানোর পরও,বেহালা থানা কর্ণপাত করেনি। অবশেষে ট্রাফিকের এক পদস্থ অফিসার ফোন করার পর,মোটরসাইকেলে করে দুই পুলিশ কর্মী আসেন।
তাঁরা ওই অভিযুক্তকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে নিয়ে থানায় যায়। মহিলা দাবি করে, পুলিশের প্রথম থেকেই উদ্দেশ্য ছিল বিষয়টিকে ধামা চাপা দেওয়ার।রাত্রি ১০টা থেকে রাত ১১:৩০টা পর্যন্ত বেহালা থানায় বসিয়ে রেখেছিল অভিযোগকারিণী মহিলাকে। এমনকি বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে প্ররোচিত করে অভিযোগ পত্রটি লেখায় পুলিশ। নির্যাতিতার সেই অভিযোগ অনুযায়ী,মামলা হয়। মামলার ধারাগুলি মহিলা পরের দিন দেখে চমকে যান। পুলিশ ৫০৯,৫০৪ এবং ৫০৬ এই তিনটি ধারায় মামলা করে।
মহিলা সকালবেলা গিয়ে থানায় যখন জানতে চান অভিযুক্ত কোথায়? থানা জানিয়ে দেয়,অভিযুক্তকে তারা জামিনে ছেড়ে দিয়েছে। নির্যাতিতা থানার বাইরে এসে রীতিমতো কাঁদতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত রবি ছেত্রীকে যেভাবে ছেড়ে দিয়েছে, তাতে সে যে প্রভাবশালীর সন্তান বলে পরিচয় দিয়েছিল তাই প্রমাণ হল৷ আর সেটাই ঘটল।’’
নির্যাতিতা ভয় পাচ্ছেন। আবার তিনি আক্রান্ত হবেন না তো! যদিও সামাজিক মাধ্যমে তিনি বিষয়টার প্রতিবাদ করে লিখেছেন। সঙ্গে কলকাতা পুলিশকেও ট্যাগ করেছেন। তাঁর বিশ্বাস পুলিশ কর্তারা বিষয়টি দেখে নিঃসন্দেহে ব্যবস্থা নেবেন।