পাওয়া যাচ্ছে না সিগন্যাল; তাহলে কি ঘুমেই আচ্ছন্ন বিক্রম ল্যান্ডার-প্রজ্ঞান রোভার

পাওয়া যাচ্ছে না সিগন্যাল; তাহলে কি ঘুমেই আচ্ছন্ন বিক্রম ল্যান্ডার-প্রজ্ঞান রোভার

চন্দ্রযান: বার বার চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুতেই ঘুম ভাঙছে না চন্দ্রযান-৩ অভিযানের বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের। শুক্রবার ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার জাগ্রত অবস্থায় আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে বারবার যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও তা চালিয়ে যাওয়া হবে।

নিজেদের অফিসিয়াল X অ্যাকাউন্ট থেকে ইসরো জানায় যে, চন্দ্রযান-৩ অভিযান: বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার জেগে রয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। যদিও যোগাযোগ স্থাপনের এই প্রয়াস চালিয়ে যাওয়া হবে।

ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে প্রজ্ঞান রোভার। ২৩ সেপ্টেম্বর স্লিপ মোড থেকে জেগে ওঠার কথা। আর বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার জেগে উঠলে তা ইসরোর অভিযানকে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে। ল্যান্ডার এবং রোভারতে যথাক্রমে গত ৪ সেপ্টেম্বর এবং ২ সেপ্টেম্বর স্লিপ মোডে রাখা হয়েছিল। যদিও উভয়ের রিসিভারই অন করা ছিল। আর যদি ল্যান্ডার জেগে উঠে কাজ করতে শুরু করে, তাহলে তা ভারতের জন্য একটা নতুন মাইল ফলক তৈরি করবে।

X-এর পোস্টে ইসরো আগে জানিয়েছিল যে, “আজ শিবশক্তি পয়েন্টের কাছে সূর্যোদয় হয়ে গিয়েছে বলে আমাদের আশা। আর বিক্রম এবং প্রজ্ঞানও ব্যবহারযোগ্য পরিমাণ সূর্যালোক পেয়ে যাবে।” ল্যান্ডার এবং রোভার একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ইসরো। তার পরেই পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর ইসরো ইসরো-র তরফে জানানো হয়েছিল যে, চন্দ্রযান ৩-তে প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটিতে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। আর এখন সেটা নিরাপদ ভাবে পার্ক করে স্লিপ মোডে রাখা হয়েছে। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শিবশক্তি পয়েন্টে সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান সম্পূর্ণ রূপে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে।

ইসরো-র স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টার ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই সংবাদমাধ্যমের কাছে আগে জানিয়েছিলেন, “আমরা ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়কেই স্লিপ মোডে রেখেছি। কারণ তাপমাত্রা মাইনাস ১২০-২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। তবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চন্দ্রে সূর্যোদয় হবে এবং আমাদের আশা, ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ সোলার প্যানেল এবং অন্যান্য জিনিস পুরোপুরি চার্জড হয়ে যাবে। তাই ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়কেই পুনরায় জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করতে থাকব।”

এই প্রসঙ্গে একটি আপডেট প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. জিতেন্দ্র সিং। নিজের অফিসিয়াল X অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে চাঁদে প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়ার অবস্থা চলছে। তাপমাত্রা মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে গিয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডার এবং রোভার থেকে কোনও সিগন্যাল না পাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এটাই।

(Feed Source: news18.com)