শুভেন্দু বললেন, “এটা গটবন্ধন নয়, ঠকবন্ধন। গ্রুপ ৪২০। এরা এক জায়গায় মিলেছে ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আটকানোর জন্য। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জনগণ আছে। এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। আর পশ্চিমবঙ্গে বেঙ্গালুরু-পটনা ও মুম্বই মিটিংয়ের পরে সিপিএম-কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা ধূলিস্মাতের দিকে যাচ্ছে। নাহলে তিন মাসের ব্যবধানে ধূপগুড়িতে বামপন্থীরা, তার সঙ্গে কংগ্রেস…তাদের জোটের ৬ শতাংশ ভোট কমেছে। মানুষের কাছে এখন দু’টো রাস্তা…চোরেদের রাখব না চোরেদের সরাব। চোরেদের রাখতে গেলে পিসি-ভাইপো, চোরেদের সরাতে গেলে বিজেপি, কোনও তৃতীয় শক্তি পশ্চিমবঙ্গে নেই।”
এনিয়ে অবশ্য সংক্ষিপ্ত জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “৪২০ জোট ইন্ডিয়া জোট নয়, জি-২০টাই ৪২০।”
প্রসঙ্গ-ধূপগুড়ি-
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে নিজেদের শক্তঘাঁটিতেই হারতে হয়েছে বিজেপিকে ! উপনির্বাচনে ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটিও বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল ! কাজে আসেনি পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রীকে প্রার্থী করে জাতীয় আবেগকে উস্কে দেওয়ার বিজেপির রণকৌশলও ! অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোর পরও রাজবংশী ভোট পুরোপুরি টানতে ব্যর্থ হয় গেরুয়া শিবির। আর তারপরই প্রশ্ন উঠে যায়, উত্তরবঙ্গের যে মাটিতে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট থেকে বিজেপি নিজের ভিত ক্রমশ শক্ত করছিল, তা কি এবার আলগা হতে বসেছে ? যদিও এদিন ধূপগুড়িতে বাম-কংগ্রেস জোটের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার প্রসঙ্গই উল্লেখ করলেন বিরোধী দলনেতা।
সাগরদিঘিতে পারলেও, ধূপগুড়িতে তা সম্ভব হয়নি। বাম-কংগ্রেস জোটে ভরসা রাখতে পারেনি সেখানকার মানুষ ! মানরক্ষার ভোটটুকুও পাননি কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী ! ধূপগুড়িতে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাদের ! ধূপগুড়িতে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট যেখানে ৯৭ হাজার ৬১৩, বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ৯৩ হাজার ৩০৪। সেখানে পেশায় শিক্ষক ও ভাওয়াইয়া শিল্পী, কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায় পান মাত্র ১৩ হাজার ৭৫৮টি ভোট! তা নিয়ে শুভেন্দুর খোঁচা, “তিন মাসের ব্যবধানে ধূপগুড়িতে বামপন্থীরা, তার সঙ্গে কংগ্রেস…তাদের জোটের ৬ শতাংশ ভোট কমেছে।”
(Feed Source: abplive.com)