‘অনেক বড় কিছু ঘটবে..’, TMC-কে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত সুকান্তর ?

‘অনেক বড় কিছু ঘটবে..’, TMC-কে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত সুকান্তর ?
কলকাতা: একুশের বিধানসভার (WB Assembly Election 2021) আগে তৃণমূলের সাংগাঠনিক চিত্রে ‘ভরাডুবি’ দেখেছিল বাংলা। কার্যত প্রায় রোজদিনই দলে দলে ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের যোগদানের ছবিতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিল রাজ্য। তৃতীয়বারের সরকার যে ডবল ইঞ্জিনের সরকারই হবে, তা প্রায় বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বের বয়ানে ছিল নিত্যদিনের আলোচ্য বিষয়। তবে যাবতীয় সমীক্ষা ভেঙে দিয়ে শেষঅবধি বড়সড় জয় এনেছিল তৃণমূল। এবং এরপরেই ছিল উলটপূরাণের পালা। দলেদলে তৃণমূল শিবিরে ফেরার ছবি দেখা গিয়েছিল একুশের রেজাল্টের পর। এবার দেখতে দেখতে তেইশ। বারবারই বের হয়ে আসছে শাসক তথা বিরোধীদের গোষ্ঠীকোন্দলের চিত্র। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2023 ) আগে, সদ্য মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার  ‘ডিসেম্বর ডেডলাইনের’ সুরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বললেন ‘অনেক বড় কিছু ঘটবে..।’

গতবছর ডিসেম্বরেই তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে বলে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার তিনি দলবদলের ইস্যুতে বলেন, ‘যোগাযোগ তো অনেকেই করছেন। যাঁরা এসেছিলেন, ফেরত চলে গেছেন, শুধু তাঁরাই নয়, যোগাযোগ সবাই করছে। তৃণমূল কংগ্রেসে পরিবেশ ভালো নেই। পেন্ডুলাম একটু দুললেই অনেক ভূমিকম্প হবে, অনেক বড় কিছু ঘটবে। এখন যা দেখছেন সেটা মেক আপ করা চেহারা, বৃষ্টি হলে সব ধুয়ে যাবে, আসল সামনে আসবে’, দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

মূলত বছর পেরোলেই লোকসভা ভোট। আর তার আগে বড় সমীকরণ হল ‘বিরোধী জোট ইন্ডিয়া’। দিল্লিতে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি, এই মন্তব্য আকাশে বাতাসে। তোপ দাগাটা প্রথম মোদি শুরু করলেও, এখন বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলই রাজ্যে বুকে শাসকদলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছে। কখনও অধীর, সেলিমকে একফ্রেমে তৃণমূলকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে। কখনও আবার সুর মিলেছে বাম-বিজেপি,দাবি শাসকদলের।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু, সংগঠন কি সেই জায়গায় আছে ? বাঁকুড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন নিয়ে দলের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এখন তাঁকে দেখা যায় না কেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,’থাকি, হয়তো মিডিয়ায় ফোকাস হয় না। নতুন নেতৃত্ব আছে। তাঁরাই এখন সামনের সারিতে থাকেন। আমরা আছি। আমার মনে হয়, যেদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তাতে কর্মীদের ভেতর ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। কোনও সময় বাঁকুড়ায়, কোনও সময় রানাঘাট, তো কোনও সময় শিলিগুড়িতে, কোচবিহারে হচ্ছে। এটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব…কারণ লোকসভা নির্বাচন এসেছে।’

এরপরেই তিনি কারণ দর্শিয়ে বলেন,’ অমিত শাহ যে ৩৫টি আসনের স্বপ্ন দেখছেন, সেটা সফল করতে হলে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এরকম যদি চলে, নিজেদের মধ্যে যদি অশান্তি হয়…। দলের ভেতরে কিছু হতেই পারে। কিন্তু, এটা বাইরে চলে আসছে। যেটা দলের পক্ষে খুব ক্ষতি করে। আমি আশা করব, যাঁরা কেন্দ্র এবং রাজ্যে দলের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা খুব শীঘ্র এগুলো মেটাবেন। নাহলে দলকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে । রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা হচ্ছে- ভোট। দিলীপ ঘোষকে সফল বলছে কেন ? ২০১৮-র পঞ্চায়েত দেখুন, ২০১৯-এর লোকসভা দেখুন বা বিধানসভা নির্বাচন, তার পরে সদস্য সংখ্যা বাড়া দেখুন। প্লাস, মিটিং, মিছিল, আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের মনে একটা জায়গা করা। রেজাল্ট বলে, দল ঠিক চলছে না ভুল চলছে।’

(Feed Source: abplive.com)