East Bengal: অবধারিত পেনাল্টিই পেল না ইস্টবেঙ্গল! জামশেদপুরকে বাঁচালেন লাল-হলুদের প্রাক্তনী

East Bengal: অবধারিত পেনাল্টিই পেল না ইস্টবেঙ্গল! জামশেদপুরকে বাঁচালেন লাল-হলুদের প্রাক্তনী

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২০-২১ সালে আইএসএলে (ISL) নয় নম্বরে শেষ করেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পরের বছরও লিগ তালিকায় ১১ নম্বরে ছিল লাল-হলুদ। ২০২২-২৩ সালে ফের ন’ নম্বরে শেষ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০২২-২৩ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল লিগ টেবলে অন্তত সম্মানজনক জায়গায় শেষ করুক। এমনটাই আশা সমর্থকদের। সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Salt Lake Stadium), জামশেদপুরের বিরুদ্ধে (East Bengal vs Jamshedpur FC) ইস্টবেঙ্গল হয়তো তিন পয়েন্ট নিয়েই লিগ অভিযান শুরু করতে পারত। তবে স্কট কুপারদের বিরুদ্ধে কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) দলকে এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। কারণ অবধারিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব। শুধু রেফারিংই নয়, ইস্টবেঙ্গলকে এদিন সঙ্গ দিল না ভাগ্য। কম করে তিন গোল করে মাঠ ছাড়তে পারতেন কুয়াদ্রাতের শিষ্যরা। তবে দুই পয়েন্ট হারানোর হতাশাই সঙ্গী হবে কুয়াদ্রাতের।

এদিন প্রথমার্ধেই ইস্টবেঙ্গল কিন্তু দুই গোলে এগিয়ে যেতে পারত। তিন মিনিটের ব্য়বধানে এসে গিয়েছিল পাঁচটি সুগোগ। নেহাতই দুর্ভাগ্য নয় তো আর কী বলা যাবে, একটি থেকেও গোল এল না এদিন। যদি পরিসংখ্যান দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে গোলের জন্য় ইস্টবেঙ্গলের আটটি শট এসেছিল। সেখানে প্রতিপক্ষের ছিল মাত্র তিনটি। এমনকী বল পজেশনেও এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ৫৪ শতাংশ ছিল কুয়াদ্রাতদের দখলে। কুপারদের দখলে ৪৬ শতাংশ। পাসের সংখ্যাতেও এগিয়ে ছিলেন নন্দরা। ২০০টি পাস খেলেছিলেন তাঁরা। সেখানে জামশেদপুর ১৭৭! তবে ম্য়াচে আলাদা করে বলতেই হবে জামশেদপুরের গোলকিপারের কথা। ৪৩ মিনিটে জামশেদপুরের রক্ষণকে গিলে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলপোস্টের নীচে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছিলেন টিপি রেহনেশে। প্রথমে বোরহার শট দুরন্ত ভাবে রুখে দেন রেহনেশ। এরপর দ্বিতীয়বারও তাঁর ডান পা বাড়িয়ে নিশ্চিত গোল আটকে দেন ২০১৬-১৭ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া কেরালার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চির গোলকিপার। এদিন জামশেদপুরকে এক পয়েন্ট এনে দেওয়ার কৃতিত্ব শুধু তাঁরই। তবে সিভেইরোকে নিয়ে হয়তো ইস্টবেঙ্গলকে ভাবতেই হবে। তাঁর খেলা হতশ্রী বললেও কম। ডুরান্ডের মতোই তিনি হতাশ করলেন।

দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটে খেলা ঘুরে যেতে পারত। ৪৮ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের গোল আসতে পারত। ফ্রি-কিক থেকে পেদরো  ক্রস নিয়েছিলেন ক্রেসপোকে লক্ষ্য করে। কিন্ত তার আগেই বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করেছিলেন প্রতীক চৌধুরি। তবে প্রতীক হাতে বল লাগিয়ে ফেলেছেন বলেই হ্য়ান্ডবলের দাবি তুলেছিল গ্য়ালারি। রিপ্লেতে দেখা যায় যে, প্রতীক ইচ্ছাকৃত বল হাতে লাগাননি ঠিকই, তবে যেভাবে তিনি হাত তুলেছিলেন, তা একেবারেই নিয়মের বাইরে। আইএসএলে ভিএআর থাকলে, ইস্টবেঙ্গল নিশ্চিত ভাবে পেনাল্টি পেত। যা এদিন রেফারি দিলেন না! নন্দকুমার-পারদোরা দ্বিতীয়ার্ধেও আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন গোলের জন্য়। কিন্তু আজ যেন ফুটবল বিধাতা মুখ ফিরিয়ে ছিলেন গোলের জন্য়। নির্ধারিত সময়ের পর আরও সাত মিনিট যোগ করেছিলেন রেফারি। কিন্তু কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে ম্য়াচের ৯৬ মিনিটে এক অদ্ভুত ঘটনাই দেখা গেল। জামশেদপুরের এমিল বেনি ধাক্কা দিয়েছিলেন ক্রেসপোকে। যার জন্য় রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে এমিলকে বার করে দেন মাঠের বাইরে। কিন্তু এরপরেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। লাল বদলে হলুদ করে এমিলকে ফেরান মাঠে।

(Feed Source: zeenews.com)